ঢাকা: এই এক বছরেই টায়ার পাংচার হয়ে গেলো এই দেশের? চাল যখন দুবাই ঘুরে আসছে, তিন মুল্লুক ঘুরে খরচ বেশি দিয়ে, মানুষও দুবাই ঘুরে যাবে যদি ভারত তাদের প্রয়োজনে লাগে তো, না হলে যাবে না!
তাই না? হিসেব তো এভাবেই হয়! আমাদের দেশের জেন জি নামক জঙ্গী, আর ইউনূস গং রাই তো বলছে ভারত দরকার নেই। এখন দরকার পাকিস্তান। যে জঙ্গী, মা বোনের ধর্ষক পাকিস্তানের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছিলো ভারত, সেই ভারত নিয়ে কত গুজব! কত কী!
তবে ভারত বাংলাদেশের বিপদে সবসময় দাঁড়িয়েছে, কিন্তু জঙ্গীবাদের বিষয়ে দেশটি বরাবর ভীষণ কঠিন। কোনো জঙ্গীবাদ প্রশ্রয় দেয়া ভারতের আদর্শ না।
২৪ এর জুলাই দাঙ্গার পরে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার।
বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ।
ইউনুস পরিষদ এ পর্যন্ত দুই বার ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছে ট্রেন চলাচল শুরু করার জন্য। ভারত পাত্তা দেয়নি। এখন আবারও ইউনুসের তরফ থেকে ভারতকে চিঠি পাঠানো হবে ট্রেন চলাচল শুরু করার জন্য।
দিল্লি না ঢাকা? সব বুলি ফাঁকা ! হয়তো ভারতের দিক থেকে এই বিষয়ে অনীহা থাকতে পারে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচল করা তিনটি যাত্রী ট্রেন দেড় বছরের বেশি সময় করে বন্ধ সেগুলি ফের চালু করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এখন অত্যন্ত আগ্রহী।
ঢাকার রেলমন্ত্রীর বক্তব্য ট্রেন তিনটি বন্ধ থাকায় দেশের নাগরিকরা খুবই সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন।
এখন স্থলপথে এবং বিমানে শুধুমাত্র বিদেশের মধ্যে যাতায়াত করা যাচ্ছে। তার ফলে বিমানের ভাড়াও মাত্রা ছাড়া।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে তিনটি ট্রেন চলাচল করে তার প্রত্যেকটি পশ্চিমবঙ্গর সঙ্গে সংযুক্ত।
যেমন, কলকাতা থেকে ঢাকা মধ্যে চলাচল করত মৈত্রী এক্সপ্রেস। নিউ জলপাইগুড়ি ও ঢাকার মধ্যে চলাচল করে মিতালী এক্সপ্রেস। আর এদিকে, বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল করে শিয়ালদা থেকে খুলনার মধ্যে।
তবে ভারত সবকিছু সূক্ষ্মভাবে খেয়াল করেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করেছে।
জুলাই মাস থেকেই ভারত সরকার প্রদেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় আইনশৃংখলার কারণে।
এছাড়া, শেখ হাসিনার পতনের পর, আর এদিকে বাংলাদেশ যেভাবে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকেছে তাতে ভারত সতর্ক হয়ে গেছে।
ভারত সরকার বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়াতেও লাগাম টেনে রেখেছে।
এখন, বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য যাদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে তাদের অনেকেই আর্থিক কারণে ভারতে যেতে পারছেন না ট্রেন তিনটি বন্ধ থাকায়।
বাংলাদেশ সরকার দু’বার ভারতীয় রেলকে চিঠি দিয়ে ট্রেনগুলি আবার চালু করার অনুরোধ জানায়। তবে ভারত পাত্তা দেয়নি।
জানা গিয়েছে, আগামি মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ- ভারতের ৩৮তম ইনট্রা-গভর্নমেন্ট রেলওয়ে মিটিং (আইজিআরএম)।
এর প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতকে তৃতীয়বারের মতো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে। অনুরোধ জানানো হবে এই বিষয়ে।
