ঢাকা: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ আবার চড়েছে। তবে এটি নতুন নয়। বিগত এক বছর ধরে বাংলাদেশের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ভারত চোখ রাঙাতে বাধ্য হচ্ছে।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক এমন ছিলো না। এবং প্রতিবেশী প্রথম, এই নীতিতেই বিশ্বাস করে আসছে ভারত।
তবে ইউনূসের মাতব্বরি বহুগুণ বেড়ে গেছে। তাঁর কর্মকাণ্ড লাগাম ছাড়িয়ে গেছে।
ভারত সরকার একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর মধ্যে। আবারো নিষেধাজ্ঞার মুখে ফেলেছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের পাটপণ্যের ওপর ফের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। এবার চার ধরনের পাটজাতীয় পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ করেছে দেশটি।
শুধু মুম্বাইয়ের নভোসেবা সমুদ্র বন্দর দিয়ে পণগুলো আমদানির সুযোগ রাখা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা পণ্যগুলো হলো— পাটের বস্তা ও ব্যাগ, পাটের তৈরি ব্লিসড ও আনব্লিসড বোনা কাপড়, পাটের সুতা কর্ডেজ দড়ি, পাটের সুতা কর্ডেজ দড়ি।
এটাই প্রথমবার নয়, ভারত এমন কড়া পদক্ষেপ আগেও নিয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
উল্লেখযোগ্য যে, এই নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে ছয় মাসে চার দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ভারত।
এর আগে গত ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দেয়।
এরপর গত ৯ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করে ভারত।
২৭ জুন বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড় স্থলপথে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এবার নতুন সিদ্ধান্তের ফলে তালিকায় আরও চারটি পণ্য যুক্ত হয়েছে, যা বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানিতে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।