ঢাকা: নিউইয়র্কে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মুখে পড়ে মহাজনের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আবার ভারতের সমালোচনা শুরু করেছেন ভারত বিরোধী।

ভারত ছাড়া তো চলছে না এক পা, কিন্তু ভারতের সমালোচনা করতে ছাড়েন না তিনি। তাঁর এইসব বক্তব্যের ফল ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে। ভারতের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু শিক্ষা হয়নি মহাজনের।

ইউনূস হচ্ছেন ওই পশ্চিমী দেশের দালাল। ৫ আগস্টের পর দেশটাকে উচ্ছন্নে নিয়েছেন তিনি। জঙ্গী জিহাদির চাষ করছেন দেশে, পাকিস্তান থেকে আমদানি করছেন জঙ্গী।

ভারতের বিরুদ্ধে নালিশ কার কাছে, কেন?

বাংলাদেশে নাকি কর্মরত আছে ২৬ লাখ ভারতীয়? তা যদি থাকেই হিসেব কৈ? তাঁদের পাঠালেন না কেন ভারতে?আদানির সঙ্গে বিদুৎ চুক্তি তো বাতিল করলেন না!? বিষয় কী?

সার্জিও গোরের কাছে নালিশ করে কি অর্জন করলেন ডঃ ইউনুস?

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে বৈঠকে ভারত সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

সার্জিও গোরকে একমাস আগে ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মহাযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফাঁকে এক বৈঠকে ভারতের সমালোচনায় মজে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তাঁর অভিযোগ, ভারত জুলাই আন্দোলনকে ভালোভাবে নেয়নি। হ্যাঁ, আসলেই নেয়নি। কারণ ভারত কোনো জঙ্গী, জেহাদি আন্দোলনকে প্রশ্রয় দেয় না! ওরা কেন সাপোর্ট করবে উক্ত ষড়যন্ত্রের?

ঐ আন্দোলন কী কোনো ভালো উদ্দেশ্যে হয়েছিলো? মেটিকুলাস ডিজাইনের কথা স্বীকার করতে গলা কাঁপে মহাজনের?

৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে কী হয়েছে তা কী ভারত দেখেনি? মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করে দেশটাকে স্বাধীন করেছে ভারত, অথচ আজ শত্রুদেশ পাকিস্তান বাংলাদেশের মিত্র? যে জঙ্গী দেশ বাংলার মাটিকে রক্তাক্ত করেছে, মা বোনদের ধর্ষণ করেছে?

ইউনূস কার দিকে ঝুঁকছেন? আর ভারত বসে বসে দেখবে আর আঙুল চুষবে? জঙ্গী আন্দোলনকে সমর্থন করবে?

ইউনূস বলেছেন, গত বছর গণবিপ্লবকে ভারত ভালোভাবে নেয়নি এ কারণে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে।

মার্কিন এ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ভারত নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “ছাত্ররা গত বছর যা করেছে সেটি ভারত পছন্দ করেনি। এ কারণে ভারতের সঙ্গে আমাদের সমস্যা রয়েছে।

ভারতীয় মিডিয়াগুলোর ভুয়া খবর পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। ভারত থেকে অনেক ভুয়া খবর আসছে। তারা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে গত বছরের গণবিপ্লব ছিল একটি ইসলামি আন্দোলন।”

এছাড়া সাবেক শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন ড. ইউনূস। তিনি বলেছেন, “ভারত হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। যিনি সমস্যার সৃষ্টি করছে। এগুলো ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করেছে।”

মূলত, ইউনূস ক্ষমতায় বসার পর কেন দুই দেশের সম্পর্ক আগের মতো রাখতে অক্ষম হলেন? তিনি তো চেষ্টাও করেননি। উল্টে সেভেন সিস্টার নিয়ে অসভ্য মন্তব্য করেছেন! এর শিক্ষাও ভারত দিয়েছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট, এক সহিংস গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনের পতন ঘটে।

ঢাকা থেকে ভারতে যাবার পর থেকে হাসিনা ভারতে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে জীবনযাপন করছেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হাসিনা এবং অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে। যা ভিত্তিহীন।

যার ফলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি এই মামলাগুলিতে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

হাসিনাকে আনার জন্য বাংলাদেশের অনুরোধে ভারত এখনও সাড়া দেয়নি। এটাই কি ইউনূসের গা জ্বালার কারণ?

ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে।

শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর দমনপীড়নের ক্ষেত্রে ঢাকার ভূমিকা এবং উগ্রপন্থী ও উগ্রপন্থী শক্তিকে স্বাধীনতা দেওয়ার মতো বিষয়গুলি নিয়ে দুই পক্ষ বারবার বিবাদে লিপ্ত হয়েছে।

এইগুলো কি মিথ্যা? কে সত্য ইউনূস একা?

গত ৮ আগস্ট, ২০২৪ সাল থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ক্ষমতায় বসেন ইউনূস।

এর পর থেকেই বাংলাদেশে অশান্তি শুরু। নির্বাচন না করেই ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাইছেন ইউনূস।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *