ঢাকা: গত আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক আন্দোলনের মুখে ঢাকা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে।
এবং বাংলাদেশের অবস্থার চরম অবনতি ঘটেছে । অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এইরকম হাজার সমস্যা এখন ঘিরে ধরেছে বাংলাদেশকে।
এমন অবস্থায় ভারত দ্রুত নির্বাচন চায় প্রতিবেশি দেশের। ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন হোক বাংলাদেশ’, ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে রণধীর বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। আমরা ধারাবাহিকভাবে তা বলে আসছি, বাংলাদেশ উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছা ও রায় প্রতিষ্ঠা করা’।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের সময় যে শেষের পথে তা বুঝে গিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
শুধু বাংলাদেশ সেনা নয়, রাজনৈতিক দল, এমনকি ছাত্র আন্দোলনে থাকা নেতাদের একাংশও চাপ সৃষ্টি করছে নির্বাচনের জন্য।
এদিকে, ডক্টর ইউনূস জাপান সফরে গিয়ে বললেন “সব দল নয়, একটি দলই ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়!!”
গণঅভ্যুত্থানের প্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কার হচ্ছে গণমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। সেটা হচ্ছে কোথায়?
জয়সওয়াল বলেছেন, সরকার পরিচালনার সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার দায়িত্ব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকেই পালন করতে হবে।
ইউনূস ভারতকে একহাত নিয়ে কথা বলেন। জয়সওয়াল বলেছেন,
“এ ধরনের বক্তব্য এলে মনে হয়, আপনি সরকার চালানোর চ্যালেঞ্জগুলো থেকে দৃষ্টি সরিয়ে অন্য দিকে ঘোরাতে চাইছেন। অন্যদের এবং বাইরের বিষয়গুলোকে দায়ী করাটা সমস্যার সমাধান নয়।”