ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোকার্ত বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, মৃত্যুর ঘটনায়। সমবেদনা এবং শোক প্রকাশ করেছেন মোদি। এছাড়াও সবরকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এই বাংলাদেশ ভারতকে কথায় কথায় গালমন্দ করে, ভারতবিরোধী শক্তি উপচে পড়ছে দেশে। যে কোনো বিপদ হলেই ভারতের দিকে আঙুল উঠানো হয়, সেই ভারতই যেকোনো বিপদে প্রথম এগিয়ে আসে।
কোথায়, অন্য একটি দেশও তো সহযোগিতার কথা বললো না। বলেছে সেই ভারত। ভারতের এটাই শিক্ষা! বাংলাদেশের শেখার এখনো অনেক বাকি। যতদিন কৃতজ্ঞতা আসবে না, ততদিন এই জাতির উন্নতি নেই।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সোমবার (২১ জুলাই) এক্সে করা এক পোস্টে এই বার্তা দেন তিনি।
পরে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসের ফেসবুকে পোস্টটি শেয়ার করা হয়। মোদি লিখেছেন, “ঢাকায় একটি মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত বোধ করছি, যেখানে মৃতদের মধ্যে অনেকেই তরুণ শিক্ষার্থী।
পরিবারগুলোর জন্য আমাদের হৃদয় শোকাহত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ভারত বাংলাদেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করছে এবং সম্ভাব্য সব সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।”
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৭১ জন।
তবে সংখ্যাটা এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ নেই। প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না আহত, নিহতের সংখ্যা।
সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল। এর ১২ মিনিটের মাথায় ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
বর্তমানে এতবড় একটি ঘটনাকে নিয়েও প্রচুর ষড়যন্ত্র চলছে। আশ্চর্য এই দেশ!
এই অবস্থায় রিকশা, সিএনজির ভাড়া ডাবল করে দেয়া হচ্ছে। লাশ নিয়ে রাজনীতি।
উত্তরা-উত্তর মেট্রোর নিচ থেকে মিরপুর আলি মেডিকেল পর্যন্ত যেতে যেখানে রিকশাভাড়া ছিল ৩০-৪০ টাকা, এখন সেখানে রিকশাওয়ালারা ১০০ টাকা চাইছে, না দিলে যাবে না।
মাইলস্টোন কলেজ থেকে আধুনিক হাসপাতালে যাওয়ার জন্য CNG-চালকরা ১০০০ টাকা করে চাইছে।
জামাত শিবির বিএনপি ফায়দা লুটছে। ছাত্রদল ও শিবির ইতিমধ্যেই হাসপাতালে মারামারি শুরু করেছে রোগী দেখাদেখি নিয়ে।
এত রোগীর ভিড় হাসপাতালে, অভিভাবকরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন, সেখানেও রাজনীতি করতে চলে গেছে জামাত।
বিভিন্ন দলের নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ায় নেতাকর্মীরা শোডাউন করতে গিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। উৎসুক জনতার ভিড়ের কারণে আহতদের হাসপাতালে নিতে অনেক সময় লাগছে।
যত দেরিতে তারা হাসপাতালে পৌঁছাবে, বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও তত কমে যাবে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে।