ঢাকা: এখন ভারতবিরোধী রাজাকাররা স্লোগান তুললো না, দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা! আমাদের ভারতীয় সহযোগিতা, চিকিৎসার প্রয়োজন নেই, বললো না?

একটা কথা আছে,‌পাগলেও নর্দমা চেনে! এখন বলবে না, যখন কাজ শেষ হবে তখন বলবে ভারত না দিলেও পারতো‌ সাহায্য! এমনই তো দেখা গেছে বারবার।

যাই হোক, ভারত তার প্রতিবেশির প্রতি সঠিক মনোভাব বজায় রেখেছে।

২১ জুলাই বাংলাদেশ বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা করার জন্য বুধবার দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং সফদরজং হাসপাতালের দুইজন বিশেষজ্ঞ এবং একজন নার্সিং সহকারীর সমন্বয়ে একটি মেডিকেল টিম ঢাকায় পাঠিয়েছে ভারত।

ভারত তার ‘নেবর্স ফার্স্ট’ নীতিকে সঙ্গে নিয়ে এই মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছে ঢাকায়।

এর আগে গত ২১ জুলাই বাংলাদেশে এই মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা ঘিরে শোক প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদী।

তিনি এক এক্স পোস্টে এই ঘটনা ঘিরে বাংলাদেশের পাশে ভারতের থাকার বার্তা দেন।

তিনি সেদিনই জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে যাবতীয় সাহায্যে এগিয়ে আসতে প্রস্তুত ভারত।

জানান,’ ঢাকায় এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত, যাদের অনেকেই তরুণ শিক্ষার্থী। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমাদের হৃদয় বেদনার্ত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। শোকের মুহর্তে ভারত বাংলাদেশের পাশে রয়েছে এবং সম্ভাব্য সকল সহায়তা ও সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত।’

বিশেষজ্ঞের দল ২১ জুলাই ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা করার জন্য ঢাকায় অবতরণ করেছে।

আজ সকাল থেকেই তারা এই রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত একটি হাসপাতালে তাদের কাজ শুরু করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এই দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা এবং সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেওয়ার পর তাদের এই সফর।

ভারত না হয় বাংলাদেশের কাছে শত্রু দেশ তবে পাকিস্তান তো বন্ধু দেশ। এখন শত্রু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলো আর বন্ধু দেশ গর্তে ঢুকে গেলো।

ভারত বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রতিবেশী রাষ্ট্র, একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেছিলেন -চাইলে বন্ধু বদলানো যায়, কিন্তু চাইলেও প্রতিবেশী বদলানো যায়না!

রাজনীতি করা আর রাষ্ট্র পরিচালনা করা এক নয়। সেটা ইউনূসের অন্তত জ্ঞান নেই।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *