ঢাকা: বকেয়া টাকা পরিশোধ করছে না বাংলাদেশ। আদানি পাওয়ারের অনেক সুযোগ দেয়ার পরও অন্তর্বর্তী সরকার কানে মাছি নাড়েনি। ফলে এবার বড়সড় ঝামেলায় জড়াতে চলেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি এবং কয়লার মূল্য নির্ধারণ ফর্মুলা নিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আদানি পাওয়ারের টানাপোড়েন অব্যাহত।
বিগত দিনগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের অর্থ প্রদানের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বহু আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।
ফলে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সালিশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির সংস্থা। সোমবারই এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে আদানি পাওয়ার।
ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে আন্তর্জাতিক সালিশ অর্থাৎ মামলা হবে সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারে।
বাংলাদেশের দাবি, আন্তর্জাতিক সালিশে যাওয়ার আগেই নিজেদের মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেছে আদানি। বাংলাদেশকেও তারা মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক সালিশের যে পদক্ষেপ আদানি নিল এক কথায় তা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের জন্য কিছুটা হলেও হুমকি। এতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে পারে বাংলাদেশ।
শুধু তাই নয়, এখানে আরো ঝামেলায় পড়তে পারে বাংলাদেশ।
আইনি জটিলতায় আটকে গিয়ে আদানি যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাহলে দেশ অন্ধকার দেখবে চোখেমুখে।
উভয়পক্ষের বিরোধের মূল বিষয় ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ), যার আওতায় ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি পাওয়ারের ১,৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিপিডিবির অভিযোগ— চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বিদ্যুৎমূল্য আমদানি করা কয়লার দামের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায়—তা অস্বাভাবিকভাবে বেশি পড়ছে।
আবার বিল পরিশোধে বিলম্বের জরিমানাও বেশি, এবং আদানি পাওয়ারের ভারতে পাওয়া কর মওকুফের সুবিধা বাংলাদেশের বেলায় প্রযোজ্য করা হয়নি।
