ঢাকা: ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের সাথে সঙ্গত কারণে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।

কূটনৈতিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে বাণিজ্য সবেতেই ভারতের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ভারত বাংলাদেশকে বন্ধু হিসেবেই দেখেছে এবং বরাবর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

তবে এরপর বাংলাদেশ শত্রু দেশ পাকিস্তান ঘেঁষা হয়েছে এবং এই দেশে ভারতবিরোধীতার হাওয়া ভারতের কাছে মোটেও ভালো ঠেকেনি।

ফলে যা ব্যবস্থা নেয়ার ভারত নিয়েছে। এবং বুঝিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশকে।

এদিকে এই পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক ক্রমশ কঠিন হচ্ছে।

ভারত বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মুহাম্মদ ইউনূসের ‘সেভেন সিস্টার্স’ মন্তব্য এর অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতে বাংলাদেশীদের আনাগোনা অনেকটাই কমেছে। যেহেতু ভিসা জটিলতা আছে। এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অবৈধ বাংলাদেশীদের গ্রেপ্তারি চলছে কড়া কদমে।

এবার দেখা গেলো বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’- এর রান্নাঘরেও পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।

একসময় ওপার বাংলার সুস্বাদু খাবারের উপর বিশেষায়িত এই অঞ্চলের রেস্তোরাঁগুলো এখন তাদের গ্রাহকদের পরিবর্তিত স্বাদের সাথে তাল মিলিয়ে ওপার বাংলার পাশাপাশি চাইনিজ এবং তন্দুরি আইটেম পরিবেশন করা শুরু করেছে।

মধ্য কলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, মার্কুইস স্ট্রিট এবং সাদার স্ট্রিটের রেস্তোরাঁগুলোতে বাংলাদেশিদের ভিড় থাকতো।

তবে ৫ আগস্টের পর কূটনৈতিক সম্পর্কে ছেদ ধরার ফলে অঞ্চলগুলোতে বাংলাদেশিদের আনাগোনা তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে। ভারত সরকার এই ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছে।

১৯৯৪ সাল থেকে মার্কুইস স্ট্রিটের কস্তুরি হোটেলে বাংলাদেশি খাবার অগ্রাধিকার পেয়ে এসেছে।

কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। তাদের কাছে এখন যেটা গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে তাঁরা সেটাই করছে।

কস্তুরির ম্যানেজার রশিদ আহমেদ মল্লিক জানান, এখন আমাদের ৮০% ব্যবসা এপার বাংলার উপর নির্ভরশীল। যে কয়েকজন বাংলাদেশি ভ্রমণে আসেন তারা তাদের স্থানীয় বন্ধুদের সাথে এখানে আসেন।

আমরা মোরগ পোলাও এবং মাছ ভর্তার মতো খাবারের আইটেম তৈরি ৪০% পর্যন্ত কমিয়ে এনেছি। নতুন ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য আমরা চাউমিন এবং কিছু তন্দুরি আইটেম চালু করেছি।

তবে রেস্তোরাঁগুলো বাংলাদেশের উপর নির্ভর ছিলো এটা ভাবা ভুল। কারণ সেখানে ভারতীয়দের প্রচুর ভিড় লেগে থাকে।

বাংলাদেশের পদগুলো কিছু রাখা আছে এখনো। তবে চাইনিজ কিছু পদ যোগ করা হয়েছে ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *