সুনামগঞ্জ: ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশে অন্যায়। অন্যায় মুক্তিযুদ্ধ, অন্যায় একাত্তর।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে একটি চুরির ঘটনায় ইছা মিয়া (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধরের পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিশ বলছে, চুরির বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তাছাড়া কাউকে চোর সন্দেহে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া বেআইনি।
ঘটনায় বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এই নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
যাকে মারধর করা হয়েছে তাঁর নাম ইছা মিয়া, উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
রবিবার (১ জুন) দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামে এই নির্মম ঘটনাটি ঘটে।
চোর সন্দেহ করে কাউকে এভাবে মারধর? নাকি ছাত্রলীগ করা তাঁর অপরাধ?
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে সাধেরখলা হাজী এম এ জাহের উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে রহিম মিয়ার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে।
পরদিন সকালে চোর সন্দেহে ইছা মিয়াকে ধরে এনে দোকানের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন গ্রামবাসী। এই সময় উৎসুক জনতা ভিড় করলে তাঁকে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য রোপন মিয়া ও কয়েকজন মুরব্বির মধ্যস্থতায় ইছা মিয়া চুরির দায় স্বীকার করে মুচলেকা দেন। এরপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এখন মব ভায়োলেন্স চলছে দেশজুড়ে। ভুয়া মামলা, গ্রেপ্তারি, মব চলছেই। সরকার নীরব।
মাত্র ১০ মাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তিন লক্ষ ৫৯ হাজার নেতা-কর্মী,সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে অবৈধ ইউনূস সরকার।
পৃথিবীর ইতিহাসে এত বড় ধরপাকড় আর হয়েছে কিনা জানা নাই।সরকারের ধরপাকড়ে পাশাপাশি চলছে মব জাস্টিস নামের জঘন্য অপরাধ।
গ্রেফতার হওয়া মানুষ পাচ্ছে না আইনের সেবা।