জামালপুর: সভ্যতা বিরোধী, মানববিরোধী কাজ! জামালপুরে গ্রাম্য সালিশিতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ না পেয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে ও মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৭ পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়।
গত শুক্রবার ১৩ জুন তারিখে মাইকে ঘোষণা করে সাতটি পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়।
সমাজচ্যুত অর্থ হলো, ঐ ব্যক্তিরা সমাজে থেকেও সমাজের সাথে মেলামেশা করতে পারবেন না। সমাজ থেকে বহিষ্কার করা হলো তাদের।
জামালপুর শহরের দাপুনিয়া এলাকায় সাতটি পরিবারকে মাইকিং করে সমাজচ্যুত করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার রাতে এলাকাজুড়ে ঘোষণা করা হয়-
‘আজ থেকে সাত পরিবার সমাজচ্যুত। তাদের সঙ্গে কেউ মেলামেশা, লেনদেন, উঠাবসা করতে পারবে না। নিয়ম ভাঙলে তাকেও একঘরে করা হবে।’
কারা সমাজচ্যুত হয়েছেন?
মৃত আজিজুল হকের পরিবার, ইসমাইল হোসেন মৌলভির পরিবার,
মনসুর মিয়া, মানিক, জানিক, মজিবর এবং নান্নুর পরিবার।
এই ঘটনায় পরিবারগুলোর মনে আতঙ্ক দেখা দেয়।
এই ঘটনায় অবশেষে শনিবার জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবার।
এরপর যারা সালিশ করেছিলেন তারা এসে ক্ষমা চান ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে।
ঘটনার দুই দিন পর আরেকটি বৈঠকে নিজেদের ভুল স্বীকার করে সালিশকারী ব্যক্তিরা।
উল্লেখযোগ্য যে, মুনসুর মিয়ার পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরোধ চলছিল।
জুমার নামাজের পর মারামারির ঘটনায় ‘মাতব্বররা’ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। তবে এটি মেনে না নেওয়ায় সাত পরিবারকে সমাজচ্যুত ঘোষণা করা হয়। ঘুষ না পেয়ে সমাজচ্যুত করা হয় ।
যা একটি দেশে সভ্যতা বিরোধী কাজ। দেশের আইন অনুযায়ী এই ভাবে কাউকে সমাজচ্যুত করা, হুমকি বা নিপীড়ন করা হচ্ছে ফৌজদারি অপরাধ।