ঢাকা: যত ক্ষমতা ধরে রাখা, তত বাংলাদেশের বিপদ। ২০২৪ সালের জুন শেষে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.২৫ শতাংশ। এরপর থেকে সেটা ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে।
হিসেব দেখা যাচ্ছে, গত বছরের আগস্টে প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছিল ৭.০২ শতাংশে, যা আগের ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও এপ্রিল থেকে আবারও নিম্নমুখী ধারায় ফিরে আসে।
এর ধারাবাহিকতায় মে মাসে গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত মূল্যস্ফীতি কমলে আমানতের প্রবৃদ্ধি বাড়ে।
তবে বিনিয়োগ না থাকার কারণে নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে না। মানুষের আয় মুখ থুবড়ে পড়েছে। আয় না বাড়লে আমানত কমবেই। মানুষ চাল ডাল কিনবে না বাকি কাজ করবে?
চলতি বছরের মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি নেমে আসে ৯.১৭ শতাংশ থেকে ৯.০৫ শতাংশে।
জুনে এটি আরও কমে দাঁড়ায় ৮.৪৮ শতাংশে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, দেশে বেকারত্বের হার মারাত্মক বাড়ছে। এতে আমানতের ওপর এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
মানুষের হাতে কাজ থাকলে আয়ের কিছু অংশ আমানত হিসেবে ব্যাংকে আসে।
তাছাড়াও, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট ও অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াকে এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।