ঢাকা: অবৈধ সরকারের অবৈধ বাহিনী গোপালগঞ্জে নির্বিচারে গণহত্যার পর ময়নাতদন্ত ছাড়া জোরপূর্বক লাশ দাফন করেছে।
এমনকি জানাজায় মানুষকে আসতে পর্যন্ত দেয়া হলোনা! ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি দাফন কেন? লুকিয়ে ফেলল নিজেদের অপকর্ম?
অস্বাভাবিক মৃত্যু মানেই প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্নের প্রথম উত্তর আসে ময়নাতদন্ত থেকে। এটি শুধু চিকিৎসা নয়-বিচারপ্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ, একজন নিরপেক্ষ সাক্ষী। কিন্তু তা হতে দেয়া হয়নি।
ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন, বা শ্মশানে পোড়ানো মানে সত্যকে এড়িয়ে যাওয়া। আর সত্য আড়াল করার মানেই অপরাধ ঢাকার চেষ্টা।
ইউনূস বাহিনী কী লুকোতে চায়? লুকোতে চায় এটাই যে বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করা ব্যক্তিকে সেনা গুলি করে মেরেছে!
দরজা বন্ধ করে সত্য চাপা থাকে? গোপালগঞ্জে নিহত ৪ জনের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন, হয়নি ময়নাতদন্ত, এই ঘটনাটি এখন তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে আবার।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
গোপালগঞ্জে নিহত চারজনের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন হয়েছে। তাদের কারও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়নি। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
স্বাভাবিক মৃত্যু ছাড়া অন্য কোন ভাবে কারো মৃত্যু হলে আইনী পদ্ধতি হচ্ছে লাশের ময়নাতদন্ত হবে। তারপরে অপমৃত্যু মামলা হবে।
গোপালগঞ্জে যারা মারা গিয়েছেন তাদের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তাদের মারা হয়েছে। আইন অমান্য করে কোন ময়নাতদন্ত করা হয় নাই।
এখন এতে কি হতে পারে? ময়নাতদন্ত হয়ি মানে তাঁরা কিভাবে মারা গেছেন তা জানা হবে না।
এই বিষয়ে কোন ডকুমেন্টেশন হবে না যার উপরে ভিত্তি করে কোন প্রকারের তদন্ত হতে পারে। এবং কোনদিন অপরাধীদের বিচারও হবে না।
এটা একদম পরিষ্কার যে, গোপালগঞ্জের ঘটনায় গুলি করা সেনা সদস্যদের ভবিষ্যতে কোন আইনি ঝামেলা বা খুনের মামলা থেকে বাঁচাতে তারা ময়না তদন্ত হতে দেয় নাই।
বুধবার দিনভর সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০), কোটালিপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (১৭), শহরের শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন।
পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহাকে বুধবার রাতে পৌর শ্মশানে সৎকার করা হয়।