ঢাকা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ দেশের সকল রাজাকার, রাজাকারের ছেলে-মেয়ে, নাতিপুতিরা একত্রিত হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দীতে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি আলবদর হানাদার আর রাজাকারেরা যেখানে আত্মসমর্পণ করেছিল সেখানেই আজকের জামায়াতের সমাবেশ হলো।

জামাত, বিএনপির কোনো মেরুদণ্ড আজো নেই আগেও ছিলো না।

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি তারা স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করবার অধিকার রাখে কিনা তা জনগণের জানতে চাওয়া উচিত।

এখন বিএনপির মনে কষ্ট জামায়াত তাদের দাওয়াত দেয়নি বলে! বন্ধু এমন করলো কী করে?

বিএনপি’ র দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি যদিও দাবি করে তারা মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের দল।

দীর্ঘদিন তাদের রাজনৈতিক- সামাজিক- ব্যক্তিগত সখ্যতা ছিল, এখনো রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি তাতে ফাটল ধরেছে। একে অপরকে নানাভাবে কটূক্তি করে বক্তব্য দিচ্ছে।

শনিবার ঢাকায় জামায়াতের যে বিশাল শো-ডাউন হলো সেই সমাবেশে কিন্তু দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপিকে দাওয়াত দেয়া হয়নি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘পিআর সিস্টেম’ বা প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে।

শনিবার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত “জুলাইয়ের অভ্যুত্থান ও গুজবের রাজনীতি” শীর্ষক সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “নির্বাচনের তারিখ এখনো ঘোষণা হয়নি, অথচ একটি দল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পিআর পিআর করে সমাবেশ করছে।”

তিনি বলেন, “ইভিএম যেখানে দেশের জনগণের কাছে এখনো পরিচিত নয়, সেখানে হঠাৎ করে পিআর পদ্ধতিতে সরকার গঠনের সম্ভাবনা নিয়েই প্রশ্ন থেকে যায়। যারা এখন সমাবেশ করে চিৎকার করছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে যদি নির্বাচনী এলাকা ধরা হয়, তাহলে তারা হয়তো একটাও সিট পাবে না।”

সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জামায়াতের এই সমাবেশে বিএনপির কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, পিআরের প‌ক্ষে থাকা দলগুলোকে কেবল এই জাতীয় সমাবেশে আমন্ত্রণ করা হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *