ঢাকা: বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের আড়ালে আরেকটি সরকার দেশের ঘাড়ে উঠে তাণ্ডব নৃত্য করছে। এনসিপি জঙ্গী দালাল, আর রাজাকার জামাত।

৫ আগস্ট ঘটানো হয়েছেই এই কারণে। দেশটাকে জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করে লুটেপুটে চেটে খেয়ে ইউনূস পালাবে দেশ থেকে!

এটি প্রতারণার জুলাই, ষড়যন্ত্রের জুলাই, ধ্বংসের জুলাই, হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নের জুলাই, মৌলবাদের উত্থানের জুলাই, একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ চেষ্টার জুলাই।

এর বাইরে জুলাইকে আর কোনো কিছু দিয়ে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। এই জুলাই জঙ্গীদের জুলাই।

জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর, ক্ষমতা দখলের পর খুনীরা আগস্টকে বিপ্লবই বলত।

আর পুলিশ, সেনাবাহিনী তো পুরোপুরি এখন ইউনূস, জামাতের কবলে। সেখানে ঢুকানো হচ্ছে শিবির, জামাতকে দেখে দেখে!

জুলাই ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন ছাড়াই পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে ইউনুসপন্থী সরকার, দেশ চালাবে জামাত-এনসিপি।

এই জুলাইর যারা প্রশংসা করে তারা আদৌ মানুষ?

প্রতিদিন মানুষ কাটা হচ্ছে, কচু কাটার মতো মানুষ কাটছে জঙ্গীরা। প্রশাসন কী তামাশা দেখছে ? পুলিশের সামনে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ!

ইউনুস একা নন, তার এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে সক্রিয় রয়েছে জামাত-শিবির, এনসিপি এবং এক সময়কার ভয়াবহ মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনগুলো।

যেখানে সাধারণ জনগণ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশায় আছেন, সেখানে ইউনুসপন্থী মহল দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে “জুলাই ঘোষণা” নামে একটি পর্দার আড়ালে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার পাঁয়তারা করছে।

এবার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও আগামী দিনের জনপ্রশাসন’-শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা যা বলেছেন, তাতে স্পষ্ট যে তারাও রাজাকারের লোক।

বাংলাদেশের প্রশাসনের সামনে এখন এমন একটি সময় এসেছে, যখন দলীয় চাপ ছাড়াই আইন ও নিয়মের মধ্যে থেকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার বাস্তব সুযোগ তৈরি হয়েছে।

এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থার জায়গা হিসেবে প্রশাসনকে নতুনভাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ সেমিনারে জনপ্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা, শিক্ষাবিদ ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।

সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।

তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের আন্দোলনে শিশু-কিশোরেরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল রাষ্ট্র পরিচালনায় কী ব্যর্থতা ছিল। কেউ তাদের বার্তা গ্রহণ করেনি। তবে ২০২৪ সালে সেই চেতনার বাস্তব প্রতিফলন ঘটেছে। সিভিল সার্ভিসকে আর পুরোনো পথে ফেরা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়ে প্রশাসনের ওপর দলীয় চাপ নেই। আইন মেনে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ খান, পিএইচডি, সেমিনারে মূল আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকারের সময় প্রশাসন রাজনীতির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দলীয়করণের ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছিল। এখন সময় এসেছে পেশাদারিত্ব, নৈতিকতা ও জনগণের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসন পরিচালনার।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *