ঢাকা: জুলাই ঘোষণাপত্র মূলত আওয়ামীলীগবিরোধী একটি ঘোষণাপত্র। নিরপেক্ষতার লেশমাত্র নেই। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তো বটেই।
এখানে আওয়ামী লীগের শাসনামলে ঘটা কোনও উন্নয়নকে স্বীকার করা হয়নি। শেখ মুজিবর রহমান এবং তাঁর পরিবারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ নেই।
এই ঘোষণাপত্র মূলত জিহাদিজঙ্গিদের পক্ষে একটি পক্ষপাতদুষ্ট ঘোষণাপত্র।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স কী বললেন?
একচোখা বক্তব্য’ ও ইতিহাস ‘বিকৃতির’ মাধ্যমে জুলাই ঘোষণাপত্রকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ করে তোলা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) পল্টন মোড়ে এক সমাবেশে তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের স্বার্থ উপেক্ষা করা কোনো সংস্কার আলোচনা, সনদ কিংবা ঘোষণাপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।”
প্রিন্স বলেন, “ইতিহাস বিকৃতি ও একচোখা বক্তব্য পাঠের মধ্য দিয়ে ঘোষণাপত্রকে অপ্রাসঙ্গিক করে তোলা হয়েছে। এটি প্রণয়নে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলা হয়নি। এর দায় আমরা নেব না।”
বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস, হত্যা, দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজির ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এ ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।”
তিনি বলেন, “সংস্কারের নামে অনেক আলোচনা হচ্ছে। অথচ শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম, সবার কর্মসংস্থান ও জনগণের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা হয়নি।
“তেঁতুল গাছের কাছে মিষ্টি আম চেয়ে লাভ নেই। বড় লোকের স্বার্থ রক্ষাকারী দলের পরিবর্তে মেহনতি মানুষের স্বার্থ রক্ষাকারী দলকে ক্ষমতায় বসানো ছাড়া মুক্তি নেই।“