ঢাকা: হাত জোড় করে বাঁচার আকুতি, তবু শেষ রক্ষা হয়নি রূপলাল ও প্রদীপের!
রূপলাল বলেন, ‘আমি চোর না, ডাকাতও না। মুচি, তারাগঞ্জ বাজারে জুতা সেলাই করি।’ তবে উপস্থিত এক ব্যক্তি উচ্চ স্বরে বলেন, ‘তুই চোর–ডাকাইতের বাপ।’
তারা হিন্দু ছিলো। এই হিন্দুদের বাঁচার কোনো অধিকার নেই বাংলাদেশে।
যারা মেরেছে তারা সবাই মুসলিম ছিলো। এদেশে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, তাই হিন্দু মারা সহজ। তাদের লোকবল নাই, জনশক্তি নাই, রাষ্ট্রের সরকারের কাছেও কোনো মূল্য নাই।
এমনকি প্রশাসন আসার পরও তাদেরকে না বাঁচিয়ে উল্টো ফিরে যায় প্রাণের ভয়ে।
সম্প্রতি দেশে মব সন্ত্রাস এতোই প্রকট আঁকার ধারণ করেছে, নিরাপত্তা বাহিনী সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দি
দেবে কি, উল্টো নিজেরাই নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হলো ২ জনকে, বাংলাদেশের মাটিতে এভাবেই নারকীয় ঘটনা ঘটছে।
শনিবার বাংলাদেশের রংপুরে তারাগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়।
রবিবার ওই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নৃশংস ভাবে মারধর করা হয়েছে রূপলাল দাস এবং প্রদীপ লাল নামের দুই ব্যক্তিকে।
হাত জোড় করে প্রাণভিক্ষা চাইলেও ছাড়া হয়নি তাঁদের।
তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় রূপলাল ও প্রদীপকে মারধর করা হয়।
পরে ওই ২ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রূপলালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে মারা যান প্রদীপ।
রবিবার পর্যন্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের মুসলিম।