ঢাকা: ষড়যন্ত্র সারাটা দেশজুড়ে। এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তবে, একজন ছাত্র লিখেছেন, হিজাব পড়ার কারণে আমার এই শিক্ষক কাউকে হেনস্তা করেননি বরং নিয়ম অনুযায়ী সাদা হিজাব না পড়ায় তা নিয়ে কথা বলেছেন!

ভিকারুননিসার নিয়ম কানুন কড়া কড়ি। ড্রেসকোড না মানলে বলা হবে এটাই স্বাভাবিক।

হিজাব পরতে বলা না বলা নিয়ে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডহক কমিটি।

এই ঘটনায় বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাস।

বরখাস্ত শিক্ষককের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা শাখা ক্যাম্পাসে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকের জন্য ন্যায় বিচার চেয়েছেন।

‘মিথ্যা অভিযোগ মুছে দাও, শিক্ষকের ন্যায় ফিরিয়ে দাও’, ‘জাস্টিজ ফর নাহার আপা’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিজ ফর নাহার আপা’, ‘শিক্ষক জাতির দিশারী, তার সম্মান রক্ষা করি’, ‘শিক্ষকের ন্যায় বিচার চাই, সত্যের কোনও বিকল্প নাই’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত দশম শেণির ছাত্রী মেহের আফরোজ কনক বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তিনি ছাত্রীদের ড্রেসকোড মানতে বলেছিলেন। তাই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।’

নবম শ্রেণির ছাত্রী রোকাইয়া বিনতে মাজহার বলেন, ‘আমাদের আপা হিজাব পরতে নিষেধ করেননি, তিনি সঠিকভাবে হিজাব পরতে বলেছিলেন। প্যানেল শিক্ষার্থী যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিলেন তারা শেষ পিরিয়ডে ওই ক্লাসে গেলে আপা তাদের বলেছিলেন— বাইরে যেয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে।

প্যানেল ছাত্রীরা ড্রেসকোড না মানা ছাত্রীদের বাইরে নিয়ে ৮-১০ মিনিট কথা বলেন। এ ১০ মিনিটের জন্য আমাদের শিক্ষককের নামে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমরা আপার পুনর্বহাল, অপপ্রচারকারীদের শাস্তি চাই।‘

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *