ঢাকা: গণতন্ত্রের হত্যাকারী, বিশ্ব খেলোয়াড় মুহাম্মদ ইউনূস বহির্বিশ্বে মনে করছেন সবাই সম্মান করে। অথচ তাঁর ভাবমূর্তি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা কল্পনাও করতে পারবেন না।

রাজনীতিবিদ বানাচ্ছেন ছাত্রদের তিনি। একবারো তাঁর মুখে শোনা যায়নি ছাত্রদের পড়াশোনায় ফিরে যাবার কথা বলেছেন, ছাত্রদের ধরে ধরে জঙ্গী বানিয়েছেন তিনি। জামাত শিবিরের সাথে মিলে দেশটাকে গিলে খেয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন মূলত রাজনীতিবিদরাই।

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত ‘অ্যাডভান্সিং রিফর্ম, রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড গ্রোথ’ শীর্ষক বৈঠকে প্রবাসী ও মার্কিন বিনিয়োগকারীদের এই কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা তার সফরসঙ্গী তথা বডিগার্ডদের নেতাদের পরিচয় করিয়ে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও হুমায়ূন কবীর, জামায়াত নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও ড. নাকিবুর রহমান এবং এনসিপির দুই নেতা আখতার হোসেন ও ড. তাসনিম জারা।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, নির্বাচনের পর গণতান্ত্রিক সরকার দেশ পরিচালনা করবে। সেসময় যাতে মার্কিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের পরিচয় এবং সুসম্পর্ক থাকে, সেই উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছেন।

এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে প্রথম দ্বিবার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘাটতি মেটাতে হবে। জলবায়ুর ক্ষতিকারক প্রভাব ও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশ ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে উল্লেখ করে বিশ্বনেতাদের পাশে থাকার আহ্বান জানান ড. ইউনূস।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *