খাগড়াছড়ি: পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। জনগণের আস্থা শেখ হাসিনার ওপর।

পাহাড়ের অশান্তি শুধুমাত্র একটি অঞ্চলের সমস্যা নয়, এটি সমগ্র বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন।

পাহাড়ে অশান্তির পেছনে জামায়াত-শিবির ও বিদেশি ইন্ধনের অভিযোগ রয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতা, আগুন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এর পেছনে একটি গভীর এবং সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রে রয়েছে জামায়াত-শিবিরের মতো মৌলবাদী চক্র।

যারা পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।

জামায়াত শিবির ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। আরাকান আর্মিসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে পার্বত্য অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকে দিচ্ছে।

দেখা গেলো, মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে অবরোধ চালিয়ে আসা জুম্ম ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হলেও অবরোধ বা ১৪৪ ধারা তোলার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

উল্লেখযোগ্য যে, সোমবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার উপস্থিতিতে এই বৈঠকে জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

পরে রাতে এ সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সিভিল প্রশাসন মৌখিকভাবে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার ব্যতীত বাকি সব দাবি মানার কথাই জানিয়েছে; পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ১৪৪ ধারা অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

“এই আলোচনার মাধ্যমে সরকার ও প্রশাসনের সাথে আমাদের আনুষ্ঠানিক সংলাপের যে সূচনা হয়েছে, সেটি আমরা স্বাগত জানাই। তবে এটি কোনোভাবে আমাদের অধিকার ও অভ্যুত্থান খালি কথায় গৃহীত হবে তা নয়।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *