খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কয়েকদিনেই। আর এইদিকেনিজের দেশে অশান্তি রেখে বিদেশে গিয়ে শান্তির বার্তা দেয়া ইউনূসের স্বভাব। জাতিসংঘে গিয়ে বিশ্ব শান্তির জন্য বয়ান দিচ্ছেন। এর চেয়ে ভণ্ডামি আর কি হতে পারে।
এই নিয়ে চরম রাজনীতি চলছে। আর চলছে ভারতকে দোষারোপ করা। সবেতেই আমাদের দেশের নেতারা ভারতের জুজু দেখে। অথচ ভারত আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী।
চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের খাগড়াছড়িতে হিংসার ঘটনায় নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ভারতের দিকে আঙুল তোলার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
তবে এর পাল্টা জবাব পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। একেবারে কড়া ভাষায় নয়াদিল্লির তরফে জানানো হল, পাতা নড়লেও ভারতের উপরে দোষ চাপানোর স্বভাব আছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। কিন্তু সেই কাজটা না করে আত্মসমালোচনা করা উচিত মহম্মদ ইউনুসদের।
এইদিকে, খাগড়াছড়িতে আটদিন পর ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। শনিবার (৪ অক্টোবর) রাত পৌনে ৯টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারির আদেশ প্রত্যাহার করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা থাকায় শনিবার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়’।
‘বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ মোতাবেক ১৪৪ ধারা জারির আদেশ প্রত্যাহারের চাহিদা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হতে পাওয়া গিয়েছে। তাই রোববার ভোর ৬টা থেকে পৌরসভা ও সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ প্রত্যাহার করা হলো’।
