ঢাকা: দেশের বড় কঠিন সময় চলে এসেছে সামনে, পরিস্থিতি তাই বলছে। সেনাবাহিনীতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে, দ্বিধা সৃষ্টি হয়েছে।

এটি বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা যে সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি সিভিল কোর্ট থেকে গ্রেপ্তারি থেকে পরোয়ানা জারি করে।

ইউনূসের আমলে এটিই সবচেয়ে বড় ঘটনা। সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিভিন্ন ঘটনা হতে দেখেছি আমরা এক বছরে, কিন্তু এই ঘটনা একদম নতুন।

দেশে বর্তমানে পুলিশ বাহিনী একেবারেই নিষ্ক্রিয়, নিষ্ক্রিয় বলতে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে।

এর ভিতরে সেনাবাহিনীকে দূর্বল করে ফেলার ষড়যন্ত্র মূলত দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিপদে ফেলার সামিল।

এবার ‘গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধে’ জড়ানোর অভিযোগে সেনাবাহিনীর যে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়েছে সেনা সদর।

সেনাবাহিনীর ওই কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবির মধ্যে শনিবার সেনা সদরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিষয়টা অত্যন্ত সংবেদনশীল হিসেবে ধরা দিচ্ছে।

আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় অভিযুক্ত সদস্যদের বিষয়ে সেনাবাহিনী আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।

সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বলেন, গত মাসের ৫ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর প্রমোশন বোর্ডের কার্যক্রম চলাকালে মেজর জেনারেল থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একত্রিত ছিলেন।

এই বোর্ড শেষে অনুষ্ঠিত হয় জেনারেল কনফারেন্স ও ফরমেশন কমান্ডার কনফারেন্স, যেখানে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী মতের লোকদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বুধবার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এর মধ্যে র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটকে রেখে নির্যাতনের মামলায় ১৭ জন আর জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) বন্দি রেখে নির্যাতনের মামলায় ১৩ জন আসামি।

দুই মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

তাঁর প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *