ঢাকা: হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই একদম খোলাখুলি ভারতবিদ্বেষী স্লোগান তুলেছে বাংলাদেশ। যা ভারতকে ভিতরে ভিতরে ভীষণভাবে ক্ষেপিয়ে তুলেছে।
চিন আর পাকিস্তান দুটো দেশ ই ভারতের শত্রু। এবং বাংলাদেশ তার নিজস্ব কর্মকাণ্ডে পড়শী হলেও শত্রু তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
পহেলগাঁওকাণ্ডের পর ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের আবহে পাকিস্তানের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে চিন।
পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জাতীয় স্বাধীনতা ধরে রাখতে সবরকম ভাবে সাহায্য করার বার্তা দেয় বেজিং। এটা শুধু ভারত বিরোধিতা করে, ভারতকে অস্থির করে তোলার জন্য।
এখন হয়েছে তিন মাথা। চিন পাকিস্তান বাংলাদেশ।
কুনমিংয়ে প্রথমবার চিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। চিনের উদ্যোগেই এক হয় ভারতবিরোধী তিন দেশ।
তবে বাংলাদেশ যা করছে তাতে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছে। কারণ ভারত ছাড়া বাংলাদেশের গতি নাই।
এই বৈঠক এর পিছনে লুকিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র। কূটনীতিকদের কারও কারও মতে, ভারতের উপর চাপ বাড়াতেই এই তে-মাথার এক হওয়া।
তবে ভারত স্বয়ংসম্পূর্ণ। চাপ সৃষ্টি করা এত সহজ না।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০ জুন চিনের বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। বিবৃতিতে চিনা বিদেশ মন্ত্রক জানায়, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান উভয়ই চিনের ‘ভাল প্রতিবেশী, ভাল বন্ধু’।
তবে শত্রুর বন্ধু তো বন্ধু হতে পারে না। তাই বাংলাদেশকে পাশ কাটিয়ে চলাই স্বাভাবিক ভারতের। আর কাশ্মীরের ঘটনায় পাক আবার টের পেয়েছে বাপ বাপই থাকে।
এদিকে, বেইজিংয়ের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। ত্রিদেশীয় উদ্যোগে বাংলাদেশকে সক্রিয় করতে কূটনৈতিক চাপ ও কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে চীন।
বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় জোট তৈরি করতে চাইছে পাকিস্তান এবং চিন।
তবে বাংলাদেশ এখনই ওই জোটে যোগ দিতে আগ্রহী নয়। তবে ঢাকাকে এই জোটে সক্রিয় করতে কূটনৈতিক স্তরে চাপ তৈরি করে যাচ্ছে বেজিং।
২১ জুলাই ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
ওই আলোচনায় চীনের রাষ্ট্রদূত ত্রিদেশীয় উদ্যোগের প্রসঙ্গটি তোলেন। ইয়াও ওয়েন জানান, সেপ্টেম্বর মাসে চীন ত্রিদেশীয় উদ্যোগের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে করতে আগ্রহী।
চীন আশা করে, বাংলাদেশ ওই বৈঠকে যোগ দেবে। যদিও বাংলাদেশ এখনই ত্রিদেশীয় উদ্যোগের কোনো বৈঠকে যোগ দিতে আগ্রহী নয়।
চিন যে বাংলাদেশকে খোঁচাচ্ছে এটা পরিষ্কার। তবে বাংলাদেশের এখন উভয় সংকট। একদিকে আমেরিকা, অন্যদিকে ভারত।