চট্টগ্রাম: মূলত একটি চিরসত্য কথা হচ্ছে, ইউনূস এই দেশের গদিতে বসার পর থেকে বাংলাদেশ কোনো দিকেই লাভের মুখ দেখেনি। একের পর এক ঘটনা ঘটেই গেছে এখনো ঘটছে।
ষড়যন্ত্রমূলক ভবে চট্টগ্রাম বন্দরকে অকার্যকর করার জন্য অযৌক্তিক, অযাচিতভাবে ট্যারিফ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটি তো মিথ্যা কথা নয়।
এই ট্যারিফ বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি ভোক্তা বা সাধারন জনগণের উপর পড়বে। আয় ও ব্যয়ের অসামঞ্জস্যতা মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে ফেলছে।
তবে প্রধান উপদেষ্টা সহ অর্থ উপদেষ্টা দেশবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
বিদেশি বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে নয়, বরং দ্রুত সময়ে উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে এবং বন্দর ব্যবস্থাপনার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করার জন্যেই নাকি চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এই কঠিন দাবি করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এই কথা বলেন।
মূলত এগুলো সবটাই মিথ্যা কথা। বলা যায়, আগুনের উপর দাঁড়িয়ে আগুনকেই অস্বীকার করা।
উল্লেখযোগ্য যে, আজ (১৫ অক্টোবর) থেকে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের হৃদপিণ্ড চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন শুল্ক হার কার্যকর হয়েছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্দরের পরিষেবা খরচ এক লাফে গড়ে ৪১ শতাংশ বেড়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনার খরচ কম হতে পারে, কিন্তু এখন সময় অনেক বেশি লাগছে। পোর্টে যানজট হচ্ছে, ডেমারেজ দিতে হচ্ছে—এটা ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে পোর্ট চার্জ কম নয়, কিন্তু কার্যক্রম খুব দ্রুত সম্পন্ন হয়।
উদাহরণ হিসেবে, গার্মেন্টস শিল্পের উদ্যোক্তারা কমপ্লেইন করেন যে পণ্য দ্রুত পৌঁছায় না। আপনার উৎপাদিত পণ্য যদি দ্রুত পৌঁছাতে পারে এবং শিপিং খরচ বাঁচানো সম্ভব হয়, তবে এতে মোট অর্থনীতিতে লাভ হয়। যদিও কিছু ক্ষেত্রে রেট বেশি দিতে হয়।’
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, শুল্ক বাড়ানোয় পণ্য খালাসে হয়রানি কমবে। দিতে হবে না বাড়তি কোনো অর্থ।
তবে অর্থ উপদেষ্টার এহেন তরল বক্তব্যে একমত নন ব্যবসায়ীরা। তাদের শঙ্কা, শুল্ক বাড়ানোর পরও ঘুষ-অনিয়ম বন্ধ হবে না।
শুধু তাই নয়, চট্টগ্রাম বন্দরের ৪১ শতাংশ বর্ধিত ট্যারিফ পুনর্বিবেচনার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠিও দিয়েছে চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম। মঙ্গলবার সংগঠনের পক্ষ থেকে চিঠিটি দেওয়া হয়েছে।
