সিলেট: বাংলাদেশে ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন, এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। ৭১ ফিরে এসেছে ২৫ -এ।

প্রতিদিন নতুন নতুন ঘটনার তালিকা যোগ হচ্ছে, অথচ বিচার হচ্ছে না।

অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিচারহীনতাই তাদের আরও সাহসী করে তুলছে।

ধর্ষণের তালিকায় যুক্ত হলো আরো এক নারী।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ঘটে গেল মর্মান্তিক এক ঘটনা। ফার্মগেটের একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী—এক তরুণী শনিবার রাতে ঢাকাগামী বাসে ওঠেন।

রবিবার (১৫ জুন) রাতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার তিনতালাব পুকুর পাড় এলাকায় নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

তিনি হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়লে, নির্ধারিত স্টেশন পার হয়ে যায়। পরে তিনি অন্য এক বাসে (মা এন্টারপ্রাইজ, সিলেট-জ ১১-০৩৬৬) উঠলে, শেরপুর এলাকায় যাত্রী নামিয়ে বাসটি যাত্রীশূন্য হয়ে যায়।

অভিযোগ অনুযায়ী, এই সুযোগে বাসচালক শাহ্ সাব্বির (২৫) এবং হেলপার লিটন মিয়া (২৩) মেয়েটিকে ধর্ষণ করে!

নির্যাতিত তরুণীর চিৎকারে স্থানীয়রা সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেয়।

রাত ১২টার দিকে নবীগঞ্জের ছালামতপুর এলাকায় যৌথ অভিযানে বাসচালককে আটক করা হয়। তবে হেল্পার পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওই কলেজছাত্রী জানান, ‘তিনি ঢাকায় একটি কলেজে পড়াশোনা করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে।

তিনি ঢাকায় ঈদ করেছেন। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেনি। এজন্য তিনি রোববার গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন।’

নেট নাগরিকরা সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন।

বলছেন, ‘দ্রুত হেলপার লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হোক’!

‘এই নৃশংস অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক’!

‘নারীদের চলাচলে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হোক’!

ধর্ষণ প্রতিদিন হয়, কিন্তু যখন ধর্ষণের বিচার হয় না, তখন সেটা শুধু ভুক্তভোগীর প্রতি অবিচার নয়—এটি গোটা সমাজের প্রতি চরম হুমকি।

অপরাধীরা জানে, তাদের কিছুই হবে না, তাই তারা বারবার একই জঘন্য কাজ করার সাহস পায়। রাষ্ট্র যখন নীরব, আইন যখন অকার্যকর, তখন দেশ কীভাবে চলে?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *