ঢাকা: জুলাই সন্ত্রাসী, জঙ্গী আখতার নাকি জাতীয় নেতা? তা এই জাতীয় নেতাই নিউইয়র্কে গিয়ে পচা ডিম শরীরে মাখলো!
মুক্তিযুদ্ধের মাটিতে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের অপমান করলে সময় তার প্রতিশোধ নেয়। রাজাকাররা রেহাই পায়নি।
জুলাই যোদ্ধা নামের এই মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্মরক ৩২ নম্বর বাড়িটি যারা গুড়িয়ে দিয়েছে, তাদের প্রতি জনগণের ক্ষোভ উপচে পড়ছে।
একবার চিন্তা করুন, প্রধান উপদেষ্টার সফর সঙ্গীদের প্রবাসী আওয়ামী লীগ কর্মীরা পচা ডিম মেরেছে, রাগ দুঃখ সবটাই মিশে আছে এতে।
ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এদের যদি এই পরিণতি হয়, ক্ষমতা থেকে নামার পর এরা বিদেশে পালাবে কোন ভরসায়?
এরা দেশ চালাবে? এই জঙ্গীরা?
বাংলাদেশ থাকবে অথচ মুজিবের অনুরাগী থাকবে না তা কি কখনো হয়?
এদিকে মহাজনের কথাই ভাবুন? নিজে ভিআইপি নিরাপত্তা নিয়ে সরে পড়লেন জামাতের নায়েবে আমিরকে নিয়ে। ফখরুলের মত সিনিয়র নেতাদের এভাবে ফেলে গেলেন?
এনসিপির ডা. জারাকে সুযোগ পেয়েও আওয়ামী লীগ কর্মীরা বলেছে, আপাকে যেতে দে, তারে কেউ কিছু করিস না…। অথচ এই জারা ও তার সঙ্গীরা গণভবনে নারীর অন্তর্বাস নিয়ে উল্লাস করেছে।
বডিগার্ড হয়ে যারা গেলো, তাদের ফেলে ইউনূস পালালো।
বিএনপির ফখরুল ইসলামের মত একজন সিনিয়র নেতাকে তারা হেনস্তা করেনি। ডিম মারেনি।
অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ডিম নিক্ষেপ করে জঙ্গী আখতারের গায়ে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের কেনেডি বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানবন্দর থেকে লাগেজ হাতে রাস্তা পার হচ্ছিলো আখতার হোসেন। তার পাশেই এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা এবং তার একটু সামনেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।
ঠিক এই সময় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আক্তার হোসেনকে উদ্দেশ্য করে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে তার ওপর ডিম নিক্ষেপ করেন।
এরপর আরেক ভিডিওতে আখতার হোসেনকে নিউইয়র্কে এনসিপির নেতাকর্মীদের সঙ্গ নিয়ে ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা সেই প্রজন্ম যারা হাসিনার গুলির সামনে মাথা নত করিনি, ভাঙা ডিমে কিছু যায় আসে না। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ একটা সন্ত্রাসী সংগঠন।’