ঢাকা: আজ মহাসপ্তমী। দেবীপক্ষের সপ্তমী তিথিতে জগজ্জননী দুর্গাকে দেবী কালরাত্রি রূপে পূজা করা হয়।
মা কালরাত্রি সমস্ত অশুভ শক্তি, রাক্ষস, এবং নেতিবাচক আত্মা ধ্বংস করে ভক্তদের রক্ষা করেন এবং তাদের আগুন, জল, হিংস্র প্রাণী এবং শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করেন। শুভ ফল প্রদান করেন বলে মায়ের অপর নাম হলো শুভঙ্করিণী।
কালরাত্রি মহাজাগতিক চক্রের শেষে সমস্ত কিছু প্রলয় বা বিলীন হওয়ার মহান রাতের প্রতীক যখন সবকিছু পরম এবং ঐশ্বরিক মায়ের মধ্যে দ্রবীভূত হয় ।
আজ মহাসপ্তমী দুর্গাপূজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আচার হল চক্ষুদান।
শাস্ত্র অনুযায়ী সপ্তমীর সকালে শুদ্ধাচারে ডান হাতে কুশের অগ্রভাগ নিয়ে দেবীকে কাজল পরানো হয়।
প্রথমে ত্রিনয়ন বা ঊর্ধ্বনয়ন,তারপর বামচক্ষু এবং শেষে ডান চক্ষু মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে আঁকা হয়।।
চক্ষু দানের পরই প্রতিমায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় আজ। মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী হয়ে উঠবেন জগন্মাতা।
মহা সপ্তমীর পুণ্য তিথিতে জগন্মাতার আশীর্বাদে আনন্দ খুশিতে ভরে উঠুক এই ধরা এটাই কামনা করছেন সকল সনাতনীরা।
রবিবার পুরান ঢাকার শাখারীবাজারের সবগুলো পূজামণ্ডপে সকাল থেকেই শুরু হয় পূজার কার্যক্রম। এদিন থেকেই মূলত মন্দির গুলোতে ভিড় করতে থাকেন ভক্তরা।
তবে বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দু নিধন চলছে, তাতে একজন সনাতনীরও মন ভালো নেই। কীভাবে যে পরিত্রাণ পাবেন তাঁরা? প্রতিদিন কোথাও না কোথাও মূর্তি ভাঙা, হিন্দুদের ছলে বলে আটক করে মেরে ফেলা চলছেই।
জগন্মাতার কাছে সকল সনাতনীর আর্তি, রক্ষা করো অসুর থেকে।
সিদ্ধেশ্বরী, ঢাকা ও সারা দেশের সব মন্দিরের প্রায় কাছাকাছি সময়ে শুরু হয় সপ্তমীর আয়োজন।
এ সময় ঢাকঢোলের বাজনা, কাঁসা, শঙ্খের আওয়াজ এবং ভক্তদের উলুধ্বনির মাধ্যমে দুর্গার আরাধনা করা হয়।
পুরাণ অনুযায়ী, এবার দেবী মর্ত্যে এসেছেন গজে চেপে। দুর্গা গজে চড়ে এলে সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনেন। আর দেবী মর্ত্য ছাড়বেন নৌকায় চড়ে। নৌকায় গমনেও ধরনী হবে শস্যপূর্ণ তবে থাকবে অতিবৃষ্টি বা বন্যা।
