জামালপুর: হাওয়া ভেঙেছে প্রতিমা? কী বলবে জেহাদি, জঙ্গী জামাতিরা? এখন হাওয়ার বিরুদ্ধে মামলা করবে হিন্দুরা?

আজ মহালয়ার দিনে জামালপুরে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে মুসলমান উগ্রবাদী গোষ্ঠী। উৎসবকে যারা শোকে পরিণত করেছে আসলেই কি তারা মানুষ?

হিন্দুদের কোনোকালেই এই দেশে ঠাঁই হয়নি। আওয়ামী লীগ বলেন, বিএনপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বলেন, এখন মহাজনের আমল বলেন- প্রত্যেকটা সময় হিন্দুরা টার্গেট।

জামায়াত শিবির হেফাজতিরা এই দেশটাকে কাঁচা খেয়ে ফেলছে। যে ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মগজ ধোলাই হচ্ছিল হেফাজতিদের দাঁড়া।

সরিষাবাড়ি পৌরসভার শিমলাপল্লী গ্রামের সোহরাব মিস্ত্রির ছেলে ৩৫ বছর বয়সী হাবিবুর রহমানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

এমন হাবিব বা হাবিবুর রহমান একা নয়। এমন লাখো হাবিবকে মগজ ধোলাই করা হয়ে গেছে।

যারা এই হাবিবকে চেনেন তাঁরা বলছেন, ওর মা বাবা দুজনেই দুর্গা পূজা দেখতে যেতো। মেলায় যেতো। এই ছেলে নিজেও ছোট বেলায় দুর্গাপূজা দেখতে যেতো।

তাহলে এই ছেলেটাই সাতটা প্রতিমা ভাঙ্গতে গেলো কেন? কারা এর মগজ ধোলাই করলো? এর পেছনে আসলে কারা? সবাই জানে কিন্তু বলবে না। এমন কি হাবিব যদি বলেও দেয়। তবুও প্রশাসন প্রকাশ করবে না।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হয়ে জন্মানো একটি পাপ একটি অভিশাপ। ভাগ্যিস একটা সিসি ক্যামারা ছিলো। নইলে সরিষাবাড়ির জামায়াত শিবির হেফাজত ও বিএনপির একটা অংশ বলতো এটা হিন্দুদের ষড়যন্ত্র!

এটাই হচ্ছে মহালয়ার আনন্দ। এটাই সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার চিত্র।

বাংলাদেশের সংবিধান, ৪১(ক):
“প্রত্যেক নাগরিকের ধর্ম পালনের, প্রচারের ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অধিকার আছে।”

সারাদেশে মূর্তি ভাঙচুর চলছে। আর দালালগুলো এখনও বলবে হিন্দুরা শান্তিতে আছে।‌ হিন্দুদেরও কিছু দালাল আছে, যারা পা চেটেই যাবে।

সরিষাবাড়ী পৌরসভার তাড়িয়াপাড়া এলাকায় ‘তাড়িয়াপাড়া মন্দিরে’ রোববার ভোর ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে মন্দির কমিটির সভাপতি গয়েশ চন্দ্র বর্মণ জানান।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *