ঢাকা: রাজনীতি আর দলবাজি এক বিষয়, জাতীয় সংকট সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই জাতীয় সংকট বুঝে উঠার জ্ঞান হারিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বয়স হয়েছে, জ্ঞান হয়নি।
বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে এভরিথিং, কোনোকিছুর অবস্থা আজ ভালো নেই।
শিক্ষার্থীরা সব প্রতিবাদে নেমেছে। কানে তুলো দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বদলাতে ব্যস্ত সরকার।
৬ দফা দাবিতে মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, শুধু বিবৃতি বা দুঃখপ্রকাশ নয়, তারা চান দায়ীদের জবাবদিহি, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সম্মান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ যেন এই ন্যায়সংগত দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এবং শিক্ষাঙ্গনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করে।
এই ক্ষতি কেন হবে? সরকার জবাব দিক!
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি গোলচত্বর এলাকায় বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে সহপাঠীদের মর্মান্তিক মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে রাস্তায় নেমে আসে শিক্ষার্থীরা। সবাই নিঃস্বার্থ প্রতিবাদ করছে।
‘আমার ভাই মরলো কেন, জবাব চাই, জবাব দাও’—এই স্লোগানে গগনবিদারী চিৎকারে মুখর হয়ে ওঠে দিয়াবাড়ি এলাকা।
হাতে প্ল্যাকার্ড, চোখে অশ্রু আর কণ্ঠে ক্ষোভ নিয়ে শিক্ষার্থীরা দাবি তোলে ছয় দফা।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. দুর্ঘটনায় নিহতদের সঠিক নাম ও পরিচয় প্রকাশ করতে হবে।
২. আহতদের নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
৩. ঘটনাস্থলে শিক্ষকদের গায়ে সেনাসদস্যদের ‘হাত তোলার’ অভিযোগে নিঃশর্ত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৪. নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ বিমান বাতিল করে নতুন ও নিরাপদ প্লেন চালু করতে হবে।
৬. বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ এলাকা মানবিক ও নিরাপদভাবে পুনর্বিন্যাস করতে হবে।