ঢাকা: বিএনপি ক্ষমতায় আসার আগেই অবস্থা কাহিল হয়ে গেছে বিএনপির। খুন, চাঁদাবাজিতে নিকৃষ্ট দলের তালিকায় ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়েছে।

ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের গেটে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে যুবদল নেতারা। তারপর লাশের উপর চলে বর্বর নৃত্য।

হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে, আওয়ামী লীগ মুক্ত বাংলাদেশে চাঁদা না দেওয়ার অপরাধে একটা মানুষকে খুন করে লাশের উপরে উঠে নৃত্য করা হলো, অথচ ইউনূস সরকার একটা কথা বললো না।

নিহত সোহাগের বন্ধু মামুন বলেন, গত দুই-তিন মাস ধরে মঈন প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করত সোহাগের কাছ থেকে। সোহাগ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রায় দুই মাস আগে দোকানের সামনে এসে হুমকি দিয়ে যায়—তোকে দেখে নেব।

সন্ধ্যায় সোহাগকে একা পেয়ে মঈনসহ ৪-৫ জন মিলে তাকে পাথর দিয়ে আঘাত করে এবং উলঙ্গ করে নির্মমভাবে মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আমরা কেউ ভয়ে এগিয়ে যেতে পারিনি, কারণ মঈন চকবাজার থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিল।

এবার ফের আই ওয়াশ। সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় করা মামলায়, আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা বার ইউনিট।

তবে এগুলো দুইদিনের সততা।

হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে খোরশেদ আলম বলেন, “অনতিবিলম্বে সব আসামির দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি জাহীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের কোনো সদস্য সোহাগ হত্যা মামলায় আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করবে না সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পাশাপাশি কোনো আইনজীবী যেন আসামিদের পক্ষে না দাড়ায় সেই আহবানও জানাচ্ছি।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *