ঢাকা: দেশ ও দেশের জনগণের বিরুদ্ধে
এনসিপি নেতা-নেত্রীদের গভীর ষড়যন্ত্র চলমান। ৫ ই আগস্ট ব্যক্তিগত সফর, এটাই তার বহিঃপ্রকাশ। এনসিপির জঙ্গীরা ভয় পেয়ে গেছে, থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, তার স্ত্রী এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ এবং মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীকে শোকজ করেছে দলটি।
বিষয়টাকে ধামাচাপা দেয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার একটি উদাহরণ শোকজ!
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে এনসিপি নেতাদের রহস্যময় কক্সবাজার সফরের আসল চিত্র প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
ইউনূসের উপদেষ্টা, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও তাদের বিদেশি প্রভুদের পকেটে—জুলাই আন্দোলনে মার্কিন দালালির পুরস্কার গেছে বা যাবে এটা নিশ্চিত।
জাতীয় সম্পদ লুট আর কমিশনের নামে হাজার কোটি টাকার ঘুষ—এটাই কি সেই কথিত ‘গণতন্ত্র উদ্ধার’-এর আসল মুখ?
ধনীর দুলাল-দুলালীরা প্লেনে করে সকালে কক্সবাজার যায়, পাঁচতারকা হোটেলে তিনঘন্টা অবস্থান করে সাড়ে তিনটার ফ্লাইটে ঢাকায় রিটার্ন করে!
কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছাড়া তারা এমনিই সেখানে গিয়েছিলো, খুশিতে , ঠেলায় , ঘুরতে!
কেউ বিশ্রাম করতে যায় ৫০১ নাম্বার রুমে, আবার কেউ যায় কক্সবাজারে। অদ্ভুত!
এতো দেখি সেক্সপিয়ারের নাটক!
এ কর্মকাণ্ড সারা জাতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
দলের নেতাই তো এই ৫ জন তাইলে শোকজ করলো কে?
ইউনূস রেজিমে বাংলাদেশে নজিরবিহীন সন্ত্রাস-অপরাধ আর প্রাণহানি ঢেউয়ের ভেতর মানুষ নিজ বাসা-বাড়ি থেকে বের হতেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
একটা অগণতান্ত্রিক সরকার যে ইচ্ছে করেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে, এটা বুঝতে বাকি নেই জনগণের। গণতন্ত্র বিলীন করে যে মবসন্ত্রাস স্বৈরাচারী ইউনূস গং বাংলাদেশে কায়েম করেছে, অদূর ভবিষ্যতে এই মবসন্ত্রাসের স্বীকার স্বয়ং ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদ হতে পারে।
এই ভয়েই ইউনূস তার নিয়োগ কর্তাদের (জামায়াত, এনসিপি) বিরুদ্ধাচারণ করছে না।