ঢাকা: জুলাই সনদ এখন পরিণত হয়েছে একটি রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলম্বিত করা।

এনসিপি ও জামাতের নেতৃত্বে এর বাস্তবায়ন মানে হচ্ছে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে গলা টিপে হত্যা করা।

রাষ্ট্রযন্ত্রকে পুরোপুরি জামাত-নির্ভর করে তোলা হবে, যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি।

জুলাই সনদ হচ্ছে ৫ আগস্ট পর থেকে যত হত্যা, ডাকাতি, ধর্ষণ, লুটপাট সব কিছুকে আইনী বৈধতা দেয়া।

জুলাই সনদ না হলে নির্বাচন হলে জুলাই যোদ্ধারা তা মেনে নেবে না- এ জন্যই বলা হচ্ছে। অথচ এরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি। ৭৫ এর ইনডেমিনিট অধ্যাদেশ সংবিধানে যুক্ত করেও রক্ষা পায়নি কেউ!

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া বুধবার (১৩ আগস্ট) থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো শুরু করেছে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই খসড়ায় বাস্তবায়নের ৯ দফা অঙ্গীকারনামা, আদালতে সনদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা নিষিদ্ধকরণ এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলেও সনদকে প্রাধান্য দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সবটাই জঙ্গী সরকারের পরিকল্পিত।

খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো জাতীয় নির্বাচনের আগেই বর্তমান সরকারের সময়ে কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, জুলাই সনদের অঙ্গীকারগুলো যাচাই-বাছাই শেষে দলগুলোর কাছে পাঠানো হচ্ছে এবং এর ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ সনদ দ্রুত তৈরি করা হবে।

একদম মুখ, গলা টিপে দেয়া হয়েছে স্বাধীনতার। জুলাই সনদের ব্যাখ্যা, প্রয়োগ ও বৈধতা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোর এখতিয়ার আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকা এবং সনদকে সম্পূর্ণ আইনগতভাবে কার্যকর হিসেবে গণ্য করাসহ এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা কিংবা জারির কর্তৃত্বের ক্ষেত্রে আদালতেও প্রশ্ন তোলা যাবে না- এমন কথা থাকছে।

আইন জাহান্নামে যাক, জুলাই সনদ আগে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *