পাক- মার্কিন- একাত্তরের পরাজিত শক্তির যৌথ ষড়যন্ত্রে গত ২০২৪ এর জুলাই- আগষ্টে সেনাসমর্থিত ‘জঙ্গী ক্যু’ এর এক বছর হতে চললো। কথিত বৈষম্য- মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, কথা বলার স্বাধীনতা ইত্যাদির মুলা ঝুলিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত পথে চালিত করা হলো।
মার্কিন ডিপ স্টেট এর মেটিকুলাস ডিজাইন এর বাস্তবায়নে চব্বিশের ৮ আগষ্ট বাংলাদেশের সংবিধান ও জনগণের নিরাপত্তাসহ সবকিছু রক্ষার শপথ নিয়ে কথিত অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিলেন নোবেল লরিয়েট ড. মুহম্মদ ইউনুস।
এরপর তার এই সরকারের উপদেষ্টামন্ডলী। সবাই কিন্তু রাষ্ট্রপতি সাহাব উদ্দিনের কাছে বাংলাদেশের সংবিধান মেনে চলবেন সেভাবেই শপথ নিলেন। এর মধ্যে নানা ষড়যন্ত্রকারি মান্যবর(!) ব্যক্তিবর্গও শপথ নিলেন।
শপথের পর ইউনুস বলেছিলেন, সব অন্যায়- অবিচারের বিচার হবে। দেশে সবাই স্বাধীন ও ন্যায়সঙ্গতভাবে অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে পারবে। কোন বৈষম্য থাকবেনা। ইত্যাদি ইত্যাদি।
এর আগে ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে ভারতে পাঠিয়ে দিলো সশস্ত্র বাহিনী। তারপর সেনা প্রধান ওয়াকার- উজ- জামান বিকেলে জাতির উদ্দেশ্য দেয়া ভাষণে বললেন দেশবাসীর নিরাপত্তার ভার তার ওপর। তিনি সবার দায় দায়িত্ব নিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাদের আন্দোলনের সময় শিক্ষাক্ষেত্রসহ সব জায়গা থেকে বৈষম্য দূর করার কথা জোর দিয়ে বলেছে।
কিন্তু গত এক বছরে আমরা অত্যন্ত হতাশা ও আতঙ্কের সঙ্গে দেখলাম, এসবের কিছুই হয়নি। ইউনূসের নেতৃত্বে তিনি যে সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন, সেই সরকার দেশকে রীতিমত মধ্যযুগীয় বর্বর শাসনে পরিণত করেছেন। যদি একটু ইসলামী ভাষায় বলতে যাই তাহলে তা হবে “আইয়ামে জাহেলিয়াতে “পরিণত করছেন।
এবার একটু দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর প্রধানের কথায় আসি। কী বলেছিলেন সেনাপ্রধান সেদিন? তিনি বলেছিলেন—”আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, সমস্ত হত্যা, সমস্ত অন্যায়ের বিচার আমরা করব।” হয়েছে বিচার? সব অন্যায়ের কথা না হয় বাদই দিলাম—সেই সময় জুলাই সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংগঠিত একটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে?
বিচার কি হয়েছে সেই পুলিশ সদস্যের হত্যাকাণ্ডের, যাকে পিটিয়ে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল? বিচার হয়েছে সেইসব পুলিশ সদস্যদের, যাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছিল? সেই সময় অনেক মানুষকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল—বিচার হয়েছে একটি হত্যাকাণ্ডেরও?
যে কোন সাধারণ মানুষই একবাক্যে বলবেন— হয়নি। উল্টো ইউনূস সরকার অধ্যাদেশ জারি করে এই সমস্ত হত্যাকাণ্ডের বিচারের সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে। সেনাপ্রধান সেনাসদরের বসে বসে হেমন্তের গান শুনেছেন আবার তা কোন এক অনুষ্ঠানে বলেছেনও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় এই সেনাপ্রধান ওয়াকার সেদিন একথাও বলেছিলেন—”আপনারা সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখুন, একটু ধৈর্য ধরুন। সবাই মিলে সমস্ত সমস্যার সমাধান করব।”
এদেশের জনগণ কিন্তু ধৈর্য ধরেছে, এখনো সেই ধৈর্য ধারণ করেই আছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান। হয়েছে? জনগণের উপর মবের হামলা কি বন্ধ হয়েছে? জনগণের সন্তানদের ধর্ষণ করা কি বন্ধ হয়েছে? রাজশাহীতে একজন পঙ্গু ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা হল।
একইভাবে হত্যা করা হয় একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে। সর্বশেষ গোপালগঞ্জে গিয়ে ওই টোকাই জঙ্গী পার্টি এনসিপি’ র নেতাদের রক্ষার নামে আপনার সেনাবাহিনীর বীর সদস্যরা (!) নিরস্ত্র- নিরীহ জনগণের ওপর যে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কায়দায় গুলিবর্ষণ ও নির্মম নির্যাতন চালালো এর জবাব কি আপনাকে দিতে হবেনা জনাব ওয়াকার?
কতজন মায়ের বুক খালি করেছেন আপনারা সেদিন? কতজনকে স্বামীহারা, ভাইহারা করেছেন — তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে হবে।
১৬ জুলাইয়ের পর কমপক্ষে পাঁচদিন আপনারা সেখানের ভীতসন্ত্রস্ত জনপদকে চারিদিক থেকে ঘেরাও করে যে নারকীয় তান্ডব চালিয়েছেন তার চিত্র নানাভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসছে। কতজনকে গুম করেছে আপনার করিৎকর্মা বাহিনী।
এজন্যই কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের বাহিনীর সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি অতিমাত্রায় বিশ্বাসী ছিলেন আপনাদের ওপর। সেনাবাহিনীর ব্যরাকে সেনাসদস্যরা একবেলা ভাত খেতে পারতো, সে জায়গায় শেখ হাসিনা দুইবেলা ভাত খাওয়াসহ উন্নত খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন।
কিন্তু এসবের প্রতিদান দিলেন আপনি ও আপনার সশস্ত্র বাহিনী? তবে এর জবাব ও মাশুল আপনাদেরকে দিতে হবে। আপনাদের নির্যাতনে চিত্র ও কথা ইতিমধ্যেই জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে চলে গেছে। চিন্তা করে কোন লাভ হবেনা।
আপনারাতো সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে জাতিসংঘ মিশনে ” ভাড়া খাঁটা” র স্বপ্নে বিভোর থাকেন। দেশরক্ষা, সংবিধান রক্ষা করার জন্য শপথ নেন আপনারা চাকরিতে ঢোকার আগে পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁয়ে। কিন্তু আপনারা পবিত্র ইসলাম ধর্মের সর্ব্বোচ্চ কিতাব কোরআন ছুঁয়ে শপথ করে সেই শপথের অবমাননা করছেন!? দোজখেও জায়গা হবেনা এমন শপথ ভঙ্গকারিদের এটুকু মনে রাখবেন।
সারা দেশ জুড়ে অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে গত এক বছরে। একটি হত্যাকাণ্ডও কি জনাব ইউনুস, ওয়াকার সাহেব ঠেকাতে পেরেছেন? তাহলে কেন বলেছিলেন তারা তাদের ওপর আস্থা রাখতে?
কিছুদিন আগে এই কথিত জুলাই বিপ্লবের লালবদরদের উদ্দেশ্যে সেদিন সেনাপ্রধান সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন। আন্দোলনরত ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন,সংঘাতের পথ পরিহার করে শান্তি-শৃঙ্খলার পথে ফিরে আসতে। লালবদরের এই গোষ্ঠী কি ফিরেছে শান্তির পথে?
থোরাই কেয়ার করেছে সেনাপ্রধানের সেই আহ্বানকে? বরং সেনাসদস্য ও কর্মকর্তারা ইদানীং এসব জঙ্গী টোকাই বা লালবদরদের কড়া নিরাপত্তাসহ তাদের কথায় ওঠে বসে।
এই জঙ্গী টোকাইরা একদিকে ক্ষমতার অংশীদার হয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছে, অন্যদিকে জায়গায় জায়গায় মবের সৃষ্টি করে দেশে একটি চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে রেখেছে। যখনই এদের মনে হচ্ছে একজন বিশেষ কাউকে হেনস্থা করা দরকার, একটি মব সৃষ্টি করে সেই ব্যক্তিকে ঘর থেকে টেনে বের করে আনা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে সে ব্যক্তি যদি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে প্রকাশ্যে জুতা পেটা করা হচ্ছে।
হেলেদুলে কথা বলা সেনাপ্রধান ওয়াকার সাহেব গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার পরপরই জাতির উদ্দেশ্যে তিনি যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেটা হয়তো তার তাৎক্ষণিক বক্তব্য ছিল। কিন্তু এত মাস পরেও তিনি বুঝতে পারছেন না—তিনি পুরো জাতির সঙ্গে এক অর্থে প্রতারণা করেছেন।
একদল জঙ্গিগোষ্ঠী রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। সেই রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব তার হাতে থাকা সত্ত্বেও তিনি হাতে চুড়ি পরে বসে আছেন।
তিনি চুড়ি পরে বসে আছেন বলেই সেনাসদস্যরা ‘ঠোলায়’ পরিণত হয়েছে। দিনে রাতে মিলে বত্রিশ নম্বর বাড়ি ভাঙচুর করল একদল জঙ্গী। একদল সেনাসদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও লেজ গুটিয়ে পালিয়ে এলো। যে মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়েছিল, সেই সেনাবাহিনী রক্ষা করতে পারল না মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটা।
সেনাপ্রধান ভুলে গেছেন—দেশের এই দুরবস্থার পেছনে তার ভয়াবহ দায় আছে। জাতিসংঘের কয়েকটি চাকরির জন্য তিনি গোটা দেশকে একদল জঙ্গীর হাতে তুলে দিয়েছেন। তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে হয়ত বলবেন, সেই সময় তিনি ব্যাপারটা বুঝতে পারেননি। জনগণ কি তার এই বক্তব্য গ্রহণ করবে?
সেনাবাহিনীর নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা আছে। তিনি জানতেন কী হতে চলেছে, এবং এটাও জানতেন—শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিলে কে ক্ষমতায় আসবে, তারা দেশকে কোনদিকে নিয়ে যাবে। তবুও যদি ধরে নিই তাকে অন্ধকারে রেখে এইসব কিছু করা হয়েছে, এক বছর পরে এসেও কি তিনি বুঝতে পারছেন না—দেশটা রসাতলে গেছে? সেই রসাতলে যাওয়া ঠেকানোর জন্য তিনি কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন এ পর্যন্ত? মাঝে মাঝে দু-একবার ফোঁসফাঁস করেছেন, ব্যাস—এইটুকুই।
আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় সেনাপ্রধান নিজেই এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। আমরা ইউনূসকে জঙ্গি তোষণের জন্য গালাগাল দিচ্ছি বটে, কিন্তু তিনি কি ভুলে গেছেন—জঙ্গি দমনের দায়িত্ব কিন্তু ইউনূস তার কাঁধেই দিয়ে রেখেছেন!
সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে। কিন্তি এমন দিনও একদিন আসবে, যেদিন হয়ত জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে ইউনূস বলবেন—”আমি তো সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দিয়ে রেখেছিলাম, জঙ্গি দমনে সেনাবাহিনী ব্যর্থ হয়েছে।”
সেদিন জনাব ওয়াকর- উজ- জামান কী উত্তর দেবেন?
সেনাপ্রধান হয়ত ভুলে গেছেন—ইউনূস একজন আন্তর্জাতিক মানের প্রতারক- বাটপার; সেনাপ্রধান তার কাছে দুগ্ধপোষ্য শিশু মাত্র। ইউনূস ইতোমধ্যেই দাবি করে রেখেছে, তাকে ডেকে এনে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। এই বক্তব্যের আরেকটা মানে হল—একটি রাজনৈতিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার অপরাধটা জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান এবং সেনাবাহিনীই করেছে। ইউনূসের হাতে কোন রক্তের দাগ নেই ।এই অপরাধের কিন্তু বিচার হবে একদিন।
★ এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ছিল ডেমোক্রেসির জন্য। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি সারাদেশে মবোক্রেসির রাজত্ব হচ্ছে। চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, হয়ে যাচ্ছে মবোক্রেসি।
প্রতারণার শিকার হচ্ছে দেশবাসী।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে যুবদল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারের নির্লিপ্ততার কারণে সারাদেশে মবোক্রেসি হচ্ছে, এমন মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, যারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে, তারা কারা এবং কেন করছে? এ কেন এর জবাব হচ্ছে, সরকারের নির্লিপ্ততা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের ব্যর্থতা।
★ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে যে ছাত্র- তরুণ ও জনগণের সাথে প্রচন্ড প্রতারণা করা হয়েছিল তা তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যেই প্রমাণিত হচ্ছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখোশ উন্মোচন করলেন উমামা ফাতেমা, যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
কথিত জুলাই বিপ্লবের সময় বিক্ষোভের একজন অন্যতম প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন। সেই উমামা কয়েকদিন আগে গত ২৭ জুন তার ফেইসবুকে লিখে জানালেন , সো কলড সহযোদ্ধারা মানুষকে টিস্যু পেপারের মতো ব্যবহার করে, প্রয়োজন শেষ হলে ছুঁড়ে ফেলতে এক মুহূর্তও লাগেন।
আমি মার্চ-এপ্রিল মাসে এই প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি পোকার মতো ভিতর থেকে প্ল্যাটফর্মকে সুবিধাবাদীরা খেয়ে ফেলছে। হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছিলেন না বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে।
কারণ নেতারা নানা ধান্ধায় জড়িত হয়ে পড়েছেন, সেসবের ব্যাপারে কথা বলাতে তাকে হেয় করা হয়েছে নানাভাবে। এনসিপি নামে রাজনৈতিক দল গঠন হলেও তিনি তাতে যোগ দেননি। কারণ হিসেবে তিনি অভিযোগ করেন, মন্ত্রীপাড়া থেকে কমিটি-নেতা করা হয়েছে।
এরকমভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ- জামান ও সর্বোপরি শান্তিতে নোবেল লরিয়েট ড. ইউনুসের কাছ থেকে দেশবাসী চরমভাবে প্রতারিত হয়েছেন। হচ্ছেন এবং হবেন ভবিষ্যতে। একমাত্র উপায় এদের অপসারণ। উচ্ছেদ। তা কোনভাবে হবে তা এ দেশের জনগণই ঠিক করবে, অতীতে যেভাবে করেছে। জনতার রায়ের ওপর কিছু নেই গণতন্ত্রে- এটিই শেষ কথা।
# ইশরাত জাহান, লেখিকা, নারী অধিকার সংগঠক ও প্রাবন্ধিক।