ঢাকা: বাংলাদেশে জ্ঞানচর্চার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকেই বর্বরভাবে খুন হয়ে গেলেন সাম্য।
উপাচার্য ও প্রক্টরের অপসারণের দাবি উঠছেই।
ঢাবি ক্যাম্পাসে কিভাবে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবাধে চলাফেরা করে?
জামাতপন্থী ভিসি কি করেন? তাঁর দায়িত্ব তো ঢাবি ক্যাম্পাস নিরাপদ রাখা এবং শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু তিনি তা করেন না।
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে ব্যর্থ তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
শনিবার ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস পরিষ্কার বলেছেন, “সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যন্ত হতাশাজনক।
“ক্রাইম সিনের জায়গাটি ভোর পর্যন্ত অরক্ষিত রাখা, রমনা কালী মন্দির, বাংলা একাডেমি ও তার আশেপাশে কোনো সিসিটিভি ফুটেজ না পাওয়ার মতন অস্বাভাবিক বিষয়াবলি ঘটনাটিকে আরো সন্দেহজনক করে তোলে।”
“পরবর্তীকালে অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তির ভাষ্যমতে, শহীদ সাম্যকে যখন ছুরিকাঘাত করা হয়, সেসময় ঘটনাস্থলে কতিপয় পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি ছিল।
“কিন্তু শহীদ সাম্যকে ছুরিকাঘাতের পরে ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া বিক্ষুব্ধ জনতা খুনিদেরকে আটকে রেখে উক্ত পুলিশ সদস্যদের কাছে সাহায্য চাইতে গেলে তারা তা না করে বরং খুনিদেরকে ছেড়ে দিতে উৎসাহিত করেন।
এখন পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা কেন বা কাদের অনুরোধে আসামিদের ছেড়ে দিয়েছিল- তার কোনো সদুত্তর প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি।”
সাম্য হত্যা নিয়ে আরো বলেন, “সাম্য হত্যার প্রায় ১৩ দিন পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয় তা ছিল অত্যন্ত অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর।
সেই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, শহীদ সাম্যকে হত্যা করা হয় হত্যাকারীদের হাতে থাকা একটি ছোট্ট ট্রেজার গান (যেটিতে ইলেক্ট্রিক শক দেওয়া হয়) দিয়ে।
“অথচ কর্তব্যরত ডাক্তারের ভাষ্য মতে, শহীদ সাম্যের উরুতে ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে অত্যন্ত সুচারুভাবে তার ‘ফেমোরাল আর্টারি’ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ ধমনী কেটে দেওয়া হয়, যার ফলে মাত্র ২-৩ মিনিটের মধ্যেই অত্যধিক রক্তক্ষরণে মৃত্যুমুখে পতিত হয় সে।”
প্রসঙ্গত, উল্লেখনীয় যে, সাম্য হত্যার বিচার চাইতে এসে ঢাবির শিক্ষার্থীরা ভিসির রোষানলেও পড়েছেন!
বলা যায়, ঢাবির বর্তমান জামাতপন্থী ভিসির নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় যেন দিন দিন হয়ে উঠছে এক নীরব কারাগার।