ঢাকা: স্বাধীনতা বিরোধী তাজুল গ্যাং এর পৈশাচিক উল্লাস। যেনতেন প্রকারে শেখ হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। অবশ্য আইন আদালত তো এখন তাদেরই।

কত ফন্দি ফিকির তাদের! এর আগে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী বানিয়েছে। তাজুল গ্যাং ও ইউনুস গ্যাংয়ের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে।

তাজুল গ্যাং শেষমেশ বিবিসির শরণাপন্নও হয়েছিলো।

বিবিসি তাজুল গ্যাংয়ের চাওয়া অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হত্যার নির্দেশদাতা বানিয়ে দিল।

অথচ সেটাই উল্টো তাদেরকে ঘায়েল করে দিল। বিবিসি ডকুমেন্টারিও ফেল।

তাজুল গ্যাং বুঝে গেছে বৈধ পথে শেখ হাসিনাকে শাস্তি দেয়া অসম্ভব। তাদের কাছে শাস্তি দেয়ার মতো নির্মোহ তথ্যপ্রমাণ নাই।

তারপর এবার শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চাইলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলাতে এই দাবি করেছেন চিফ প্রসিকিউটর।

শুধু তাই নয়, হাসিনার সঙ্গে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও যাতে মৃত্যুদণ্ড পান, সেটাও চেয়েছেন তিনি।

চিফ প্রসিকিউটির মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘অপরাধের প্রাণভোমরা’ উল্লেখ করে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি (চরম দণ্ড) চেয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

আজ (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই আবেদন জানান তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সকল অপরাধের প্রাণভোমরা শেখ হাসিনা। সে অনুশোচনাহীন ও হৃদয়হীন অপরাধী। তার সর্বোচ্চ শাস্তি (চরম দণ্ড) হওয়া উচিত। এ থেকে অনুকম্পা পাওয়ার সুযোগ নেই।

১৪শ জনের হত্যার জন্য ১৪শ বার ফাঁসি দেওয়া উচিত ছিল। যেহেতু সেটা সম্ভব নয়, তাই সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এভাবে নিজের দেশের নাগরিককে হত্যা করতে না পারে।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *