ঢাকা: মানবিক করিডোর নিয়ে প্রশ্ন শুনতে রাজি নন তৌহিদ হোসেন। রাখাইনে মানবিক করিডর নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘এ নিয়ে আমাকে কোনো প্রশ্ন করবেন না।’ বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক নিয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু নিরাপত্তা, সেহেতু সীমান্ত ও সীমান্তের বাইরের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে অস্ট্রেলিয়ার ৪১ এমপি-সিনেটর বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চেয়েছেন। চিঠির কপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটি সঠিক কিনা, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা তাঁর নজরে আসেনি।
তাহলে কোন বিষয় তাঁর নজরে আছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে? আসল বিষয় হচ্ছে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন গত ২৭ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন – মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে রাজি হয়েছে।
এক মাস না যেতেই নিরাপত্তা উপদেষ্টা সে জায়গায় বলছেন – করিডোর বলতে কিছুর অস্তিত্ব নেই, কারো সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। এটাকে গুজব ও বিদেশী প্রচারণা বলেও উড়িয়ে দেন তিনি। এই ধরনের কথাবার্তায় জনগণ বিভ্রান্ত।
এদিকে, গত ১৮ মে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান করিডর ইস্যুতে সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে করিডর প্রদান কিংবা বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশির হাতে তুলে দেওয়াটাকেই বেশি প্রাধান্য বলে মনে হচ্ছে। আমরা আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, করিডর কিংবা বন্দর দেওয়া না–দেওয়ার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়, এই সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ বা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার।
উল্লেখনীয় যে, স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব হুমকিতে ফেলে মায়ানমারের জন্য মানবিক করিডোর দেয়া বাংলাদেশ এবং জনগণের জন্য অভিশাপ। বাংলাদেশর জনগণ এমন সিদ্ধান্ত কখনো মেনে নেবে না। এর বিরুদ্ধে চরম প্রতিবাদ চলছে।