ঢাকা: মার্কা দিয়ে কী হবে? মার্কার থেকে মানুষের মন জয় করার ব্যাপারে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। সেটা কোনোদিনই টোকাইদের দাঁড়া সম্ভব নয়।
দাঙ্গা করে শাপলা নেবে, এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে এই এনসিপি জঙ্গীদের কথাবার্তা।
এই যে এনসিপি শাপলা প্রতীক দাবি করেছে, এদিকে ইসি স্পষ্ট বলেছে: শাপলা তালিকায় নেই, তাই এনসিপিকে শাপলা বরাদ্দ হবে না।
তবু তারা কেন মাথা ঠেসে রেখেছে যে শাপলা ছাড়া বাঁচবে না! কোনো প্রতীক জোর করে নিজে নিজে আইন গঠন করে না। সরকারের দপ্তরগুলো শাপলা ব্যবহার করে- কারণ সেটা জাতীয় প্রতীক; সেটা কোনো দলীয় হুকুমে বদলে যায় না।
এরা কি এমনটাই মনে করছে যেভাবে জুলাই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছে সেভাবে ভোটের মাঠে দাঙ্গাবাজ বসিয়ে ক্ষমতা কাস্টমাইজ করা যাবে?
এই বাস্তবতা এখনো বুঝে উঠতে পারেনি জঙ্গী দল।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক টোকাই সারজিস আলম বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেয়, তাহলে এনসিপি তা মেনে নিবে না।
এটা (শাপলা না দেওয়া) করার যদি তারা চেষ্টা করে, তাহলে তাদের ওপর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের কোনো আস্থা থাকবে না।’
সোমবার দুপুরে নাটোরের কানাইখালী এলাকার আরপি কনভেনশন হলে আয়োজিত জেলা সমন্বয় সভার পর এক সংবাদ সম্মেলনে সারজিস এই কথাগুলো বলেন। এনসিপি নাটোর জেলা শাখা এই সভার আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম বলেন, ‘যেহেতু শাপলা প্রতীক পেতে আইনগত কোনো বাধা নাই, নির্বাচন কমিশনও এমন কোনো বাধা দেখাতে পারেনি। তারপরও যদি শাপলা না দেয়, তাহলে তা নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারিতা অথবা বাইরের কোনো চাপ।
অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশে একটা স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থেকে এই স্বেচ্ছাচার আচরণ আমরা মেনে নেব, এটা মেনে নিয়ে তাদের মাধ্যমে নির্বাচনে যাব, ওই নির্বাচন স্বচ্ছ হবে, সুষ্ঠু হবে, এই বিশ্বাস আমরা করি না।’
