চিন্ময় দাস- হিন্দু সাধু।ব্রহ্মচারী। সংসারত্যাগী। শুধু সাধু হয়ে মঠ-মন্দিরে পুজো-আচ্চা করছিলেন তিনি অন্য আর দশজন সাধুদের মত। কিন্তু গতবছর ৫ আগষ্টে সরকার পরিবর্তনের পর যখন সারা বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করলো ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠী তখন তিনি আর শুধু মন্দিরে উপাসনায় ব্যস্ত থাকেননি।

নিরামিষ ভক্ষনকারি এ সাধু চিন্ময় দাস সনাতনীদের নিয়ে রাজপথে নেমে এসে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। তাঁর সাথে অন্য মঠ মন্দিরের সাধু-সন্ন্যাসীরাও যোগ দিয়েছিলেন। সাথে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হওয়া আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সব বয়সী হিন্দুরা ঘর থেকে বের হয়ে এসেছিলেন।

বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে সনাতন বা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংগঠিত করে এ অন্যায়ের প্রতিবাদে মাঠে নেমেছিলেন এই সাধু চিন্ময় দাস। এটাই তাঁর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এসব শান্তিপূর্ণ-অহিংস আন্দোলনের সময় রাজপথ প্রকম্পিত করে ‘জয় শ্রী রাম’, ‘আমার মাটি আমার মা আমরা ছেড়ে যাবোনা’, ‘ তুমি কে আমি কে -সনাতনী সনাতনী’, ‘ হিন্দুদের ওপর হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই’ সহ নানা ধরনের শ্লোগানে প্রকম্পিত করেছিল বাংলার রাজপথ, আকাশ-বাতাস।

প্রশ্ন হলো-চিন্ময় দাসকে এত ভয় কেন এত প্রতাপশালী সরকার বাহাদুরের ? নাকি হিন্দু নাগরিকরা তাদের ন্যায্য অধিকারের কথা বললে সেটাতেই আপত্তি ? ভয় পাচ্ছে সরকার হিন্দুদের ?

চিন্ময় সাধু ও হিন্দুরাতো শুধু নিজেদের অধিকারের কথা বলেছে, নিজের মাতৃভূমি-পিতৃপুরুষের ভিটায় থেকে অধিকারের কথা বলছে। তাতে এত ভয় কেন শান্তিতে নোবেল পাওয়া ইউনুস সরকারের ?

যদি সব ধর্ম-বর্ণ-জাতি গোষ্ঠীর নাগরিকের অধিকারে বিশ্বাস করে থাকে বর্তমান ড. ইউনুস সরকার তাহলে ভয় পাওয়ার কোন কারণ তো দেখিনা।

দিন দিন সেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধ বাড়তেই থাকে। সনাতনীরা বুঝতে পারেন-আন্দোলন ছাড়া কোন গতি নাই। দেশ থেকে পলায়ন কোন সমাধান নয়। তাই রুখে দাঁড়িয়েছিল সবাই এই চিন্ময় দাস নামক এক সাধুর নেতৃত্বে।

তবে সব আন্দোলন ছিল অহিংস। চট্টগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লা, রংপুর, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, সিলেটসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলাতেই সনাতনীরা ‘ বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট’ নামে নতুন সংগঠন গড়ে তোলেন।

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘির ময়দানে ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর লাখো লাখো সনাতনী নাগরিকদের উপস্থিতিতে এই সংগঠনের এর মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল চিন্ময় সাধু বা চিন্ময় দাসকে।

বাংলাদেশের সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের আন্দোলন-সংগ্রামের ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বে নতুন করে যুক্ত হলো চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীর নাম। কিন্তু দেখা গেলো বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনগুলোর অন্য নেতাদের চেয়ে সনাতনী জাগরণ জোটের নেতৃত্বদানকারি ও সংগঠকদের বেশি ভয় পেয়েছে বাংলাদেশে জামায়াত-হিযবুত-হেফাজতসহ উগ্র সাম্প্রদায়িক ইসলামী সংগঠনগুলোর সমর্থনে ক্ষমতাসীন ড. ইউনুসের অসাংবিধানিক-অবৈধ সরকার।

তারা নানাভাবে এই সনাতনী জোটের আন্দোলন-সংগ্রামকে কি করে দমাবে সে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে।

সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ এর ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ওই মামলা করেন।

সেই মামলায় চিন্ময়সহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়। তর্কের খাতিরে ধরে নিলেও এটি হতে পারতো পতাকা অবমাননার একটি মামলা। কিন্তু তা না করে সেটিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে দেখানো হলো।

অথচ রাষ্ট্রদ্রোহীতার মতো কোন অভিযোগ থাকলে সে মামলা করবে রাষ্ট্র, কোন ব্যক্তি নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে চট্টগ্রামের ওই বিএনপি নেতা ফিরোজ খানকে দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করানো হলো চিন্ময় দাসসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে। যা অত্যন্ত হাস্যকর একটি বিষয়।

ঘটনার বিষয়টি বুঝতে পেরে পরবর্তীতে বিএনপি মামলাকারি ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেয়। যিনি মামলার বাদী তাকেই তার দল বহিষ্কার করলো দল থেকে। এ থেকে বুঝতে আর কি বাকী থাকে যে এ মামলাটি দায়ের করে কোনভাবেই ঠিক করেননি ফিরোজ খান।

কিন্তু বর্তমান করিৎকর্মা সরকার বাহাদুরের পুলিশ বাহিনী এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে গত ২৫ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় বিমানবন্দর থেকে। চিন্ময় তার আগে রংপুরে সরকারের লেলিয়ে দেয়া পোষাকধারী ও ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর শত বাধা উপেক্ষা করেই বিক্ষুব্ধ সনাতনীদের এক বিশাল সমাবেশ শেষ করেছেন।

সেখান থেকে ঢাকা বিমানবন্দর হয়ে চট্টগ্রামমুখী বিমানে ফেরার পথেই তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। চট্টগ্রাম আদালতে তাকে জামিন দেয়া হয়নি।

সেই ২৬ নভেম্বর চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া নিয়ে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময়ের বিক্ষুব্ধ অনুসারিদের ওপর হামলে পড়ে পুলিশ ও বিজিবি।

সেইসাথে জামায়াত-হেফাজত-বিএনপি সমর্থিত কিছু আইনজীবীর প্রত্যক্ষ উষ্কানি ও অংশগ্রহণে চিন্ময়ের অনুসারি সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ওপর চরম আক্রমণ শুরু হয়।

সনাতনী সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সাথে তখন পুলিশ-বিজিবি ও জামায়াত-হেফাজত-বিএনপি ক্যাডারদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছিল। এ সময় চট্টগ্রাম অঅদালত পাহাড়ে ওঠার মুখে বিপরীতে অবস্থিত রঙ্গম কনভেনশন গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম এই সংঘর্ষের সময় গুরুতর আহত হন।

মেডিকেলে নেয়ার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এসব ঘটনা যখন ঘটছিল তখন চিন্ময় দাস কিন্তু পুলিশের হেফাজতে ছিলেন।

গত ২৬ নভেম্বর জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর চিন্ময় দাসকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে জামায়াত-হেফাজত-বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা কর্মবিরতির ডাক দিলে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

পরে আদালত গত ৩ ডিসেম্বর শুনানির দিন রাখেন। সেদিন চিন্ময়ের কোনো আইনজীবীকে আদালতে উপস্থিত হতে দেয়নি জামায়াতী আইনজীবীরা। স্বাভাবিকভাবেই তার পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় আদালত শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি পরবর্তী দিন রাখেন।

আদালত-বিচার ব্যবস্থা সব নিয়ন্ত্রণ করছে জামায়াত-হিযবুত-হেফাজতী মৌলবাদীরা। ফলে সেদিন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

এদিকে ৩ জুন মঙ্গলবার পাঁচটি মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন চট্টগ্রামের প্রথম মহানগর হাকিম আবু বকর সিদ্দিক।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পিপি রায়হানুল ওয়জেদ চৌধুরী বলেছেন , ‘আসামি চিন্ময় কৃষ্ণের পক্ষে তার আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে আদালত সবগুলো মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।’

এই পাঁচটি মামলা হলো- আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলা এবং গত বছরের ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় ভাংচুর-হামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পুলিশের করা তিনটি এবং আলিফের ভাই খানে আলমের করা আরেকটি মামলা। সহকারী পিপি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, ৩ জুন হত্যা মামলায় জামিন আবেদনের শুনানির ধার্য দিন ছিল।

অন্য চার মামলায় বিশেষ জামিন আবেদন করা হয়। সবগুলোর মামলায় শুনানি হয়েছে। রাষ্ট্র পক্ষে আমরা জামিনের বিরোধিতা করেছি।’

গত ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় পুলিশের করা তিনটি মামলায় এবং আইনজীবী আলিফের ভাইয়ের করা একটি মামলায় গত ৬ মে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

এর আগের দিন আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ আসে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য্য যিনি হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করেন তিনি চিন্ময় দাসের মামলায় আইনী লড়াই করছেন অন্য আইনজীবীদের নিয়ে। তিনি বললেন, ‘ পাঁচটি মামলায় উনাকে (চিন্ময়) গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

পাঁচটা মামলায় উনার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। উনি পুলিশ কাস্টডিতে ছিলেন। ‘ মহামান্য হাই কোর্ট যখন অন্য মামলায় উনার রুল অ্যাবসুলিউট করেছেন, একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায়। তখনই এর একদিন পরে উনাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। যেটা মেলাফাইড ইনটেনশন। যেখানে উনার কোনো অভিযুক্ততা নাই।”

আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘উনি চরমভাবে অসুস্থ। আমি কোর্টকে বলেছি, উনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। এখন উনার ট্রিটমেন্ট দরকার। এজন্য একটা দরখাস্ত দেওয়া আছে। ‘

আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। অবশ্যই আমরা যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেব। মাননীয় মেট্রো সেশন কোর্টে আমরা জামিন আবেদন করব।’

প্রসঙ্গত: গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন।

আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ রহস্যজনকভাবে মারা যান।

সহিংসতার ঘটনায় সেদিন রাতেই তিনটি মামলা করেছিল পুলিশ। আর ২৯ নভেম্বর আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলা করেন তার বাবা জামাল উদ্দিন। সেদিন আইনজীবীদের ওপর হামলা, বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল।

জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।

গত ৫ আগষ্টের পর থেকে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের ওপর হামলা-নির্যাতন-লুটপাঠ-ধর্ষণ-খুনসহ নানা মানবাধিকার বিরোধী কর্মকান্ড বন্ধ ও এসবের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসী ও সংগঠনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই প্রতিবাদ-আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু সরকার এসব হিন্দু নির্যাতনের বিষয়টিকে স্বীকার করতে চান না।

এর মধ্যে অতি সম্প্রতি ( মে মাসে) যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডহরমসিয়াহাটি গ্রামে বাড়েদা পাড়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর নির্মমভাবে হামলা চালিয়েছে মুসলিম সন্ত্রাসীরা। উপজেলার নাম ‘ অভয়নগর’।

কিন্তু সেই অভয়নগরেই এখন অভয় তো দূরের কথা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নিজেদের ঘরবাড়িতে যেতে পারছেন না। মুসলিম ধর্মাবলম্বী সন্ত্রাসীরা কমপক্ষে ১৮ টি বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে আরো বেশ কয়েকটি বাড়িতে। প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে এসব বাড়িগুলো আগুনে পুড়িয়ে নি:স্ব করে দেয়া হয়েছে। আগুন নেভানো তো দূরের কথা,

সন্ত্রাসীদের আক্রমণের মুখে হিন্দুরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বাংলাদেশি কোন সংবাদ মাধ্যমে নয়, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি’র খবর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কারণ বাংলাদেশী সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকগণ এসব নিউজ করে জামায়াত-হিবুত-হেফাজত সমর্থিত বর্তমান ইউনুস সরকারের বিরাগ ভাজন হতে চায়নি। এই হলো বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোর স্বাধীনতা !

# নুরুল ইসলাম আনসারি, লেখক, গবেষক।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *